সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
ডি ককের রেকর্ড ফিফটিতে রোমাঞ্চকর এক জয়ে পেয়ে সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড। এদিন নিজ দেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রæততম ফিফটি হাঁকান ডি কক। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০ ওভারের ম্যাচে ৭ উইকেটে গড়া ২০৪ রান টপকাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে লড়াই ছিল হাড্ডা-হাড্ডি। মাত্র ২ রান দূরে থাকতে ২০২ রানে থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। শুক্রবার দ্বিতীয় এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জয়ে ইংল্যান্ড সিরিজে নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখতেই পারে।
বড় রান তাড়ায় স্বাগতিকদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন টেম্বা বাভুমা ও ডি কক। পাওয়ার প্লেতে দুজনে যোগ করেন ৬৯ রান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই জুটি ভাঙেন মার্ক উড। সীমানায় স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন ডি কক। ২২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে মারেন ৮টি ছক্কা। এই ইনিংস খেলার পথে মাত্র ১৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের এটাই দ্রুততম ফিফটি।
উডের পরের ওভারে ফিরে যান বাভুমাও। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা ডেভিড মিলার। রাসি ফন ডার ডাসেন এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ছিল ১৫ রান। টম কারানের প্রথম বলে রান না পেলেও পরের দুই বলে ছক্কা, চার হাঁকিয়ে সমীকরণ নাগালে নিয়ে আসেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। চতুর্থ বলে আসে দুই রান। শেষ দুই বলে তিন রানের সহজ হিসাব মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। চার বলে মাত্র দুই রান করে লুঙ্গি এনগিডির বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন জস বাটলার। দ্বিতীয় উইকেট ৫২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ২৯ বলে ৪০ রান করেন রয়। বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩৫।
পাঁচে নেমে ৪টি চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস। শেষ দিকে মইন আলির ১১ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে দুইশ পার হয় সফরকারীদের সংগ্রহ। ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার এনগিডি। রোববার হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।