ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি
🕐 ১:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মনিরুল ইসলাম নামের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং প্রেস অফিসে উপ-রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহ জেলা জর্জ কোর্টের এ্যাডভোকেট নেকবার হোসেন স্বাক্ষরিত এক ডিমান্ড নোটিশ পাঠনো হয়েছে বলে জানা গেছে।

নোটিশ সূত্রে  জানা যায়, মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তার মক্কেল মাসুদ করিমের ঘনিষ্টতার ও বিশ্বাসভাজন সূত্রে ইবি উপাচার্যের বিশেষ প্রয়োজনে তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ধার চান। তার সাথে সুসম্পর্ক থাকায় এবং উপাচার্যের প্রয়োজন শুনে মাসুদ ১০ লক্ষ টাকা ধার দিতে রাজি হন। 

গত বছরের ১৫ জানুয়ারী তার মক্কেলের নিকট থেকে মনিরুল উপাচার্যকে দেওয়ার জন্য ধারে ১০ লক্ষ টাকা হ্যান্ডক্যাশ নেন। গত ১৩ জানুয়ারী সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। কিন্তু তিনি ঐ তারিখে টাকা প্রদানে অপারগ হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক, ইবি শাখার ৪২৯৬ হিসাব নম্বরে একটি চেক প্রদান করেন।  যার চেক নম্বর ১১৮১-৩২৯৮৩১১ এবং টাকার পরিমান ১০ লক্ষ টাকা। পরে তার মক্কেল মাসুদ অত্র তারিখেই চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল  স্বাক্ষরে অমিল মর্মে একটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফিরিয়ে দেন। 

তার মক্কেল এ বিষয়ে মনিরুলকে অবহিতের পরেও সে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এবং হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্বেও সে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাত করার অসৎ উদ্দেশ্য তার মক্কেলকে চেক প্রদান করা হয়েছে বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে ইবি কর্মকর্তাকে চূড়ান্তভাবে জানানো হয় যে, অত্র নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তার মক্কেলকে সমুদয় টাকা প্রদান করতে। অন্যথায তার বিরুদ্ধে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারার অপরাধ বিবেচনায় মোকদ্দমা করা হবে। 

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ করিম বলেন, ‘বিশ্বাসে আমি তাকে ১০ লক্ষ টাকা ক্যাশে ধার দেই। পরিশোধ করার নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে গেলেও তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। পরে তিনি আমাকে একটি চেক দিলেও সে পরিমাণে টাকা তার হিসাব নং এ নেই বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন। যার কারণে আমাকে আইনজীবির দ্বারস্থ হতে হয়েছে।’ 

অভিযুক্ত ইবি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা ধার নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার পারিবারিক ঝামেলা দূর করতে তিন মাস আগে আমার কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকার চেক নেয়। পরবর্তীতে কারো প্ররোচণায় পরে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমি অচিরেই তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবো সংশ্লিষ্টদের কাছে।’

 

 
Electronic Paper