ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১৪১ বছরে এমন জানুয়ারি আসেনি পৃথিবীতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৪:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০

গোটা পৃথিবীতেই জলবায়ু বিপর্যয় ভয়াবহ রকম প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত ১৪১ বছরের গড় তাপমাত্রার হিসাবে গেল জানুয়ারিতে পৃথিবী ও সমুদ্রপৃষ্ঠ সবচেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (এনওএএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে নির্ভরযোগ্য পরিমাপ শুরুর পর পৃথিবীর দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হিসেবে স্থান পেয়েছিল ২০১৯ সাল। ১৫০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ডে গত ৫ বছর এবং গত দশক ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ, যা ভয়াবহ জলবায়ু সঙ্কটের ইঙ্গিত দেয়।

জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন বলছে, গত ২০ দশকের গড় হিসাবে গত জানুয়ারিতে বৈশ্বিক ও সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২.৫ ফারেনহাইট, যা ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রেকর্ড করা তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৬ সাল ছিল গত কয়েক দশকের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। রাশিয়া, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ও কানাডার পূর্ব উপকূলে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়। এ সময়ে এসব অঞ্চলে গড় তাপামাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সুইডেনের শহর অরেব্রো তাপমাত্রা পৌঁছায় ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ১৮৫৮ সালের পর সেখানকার সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গেল জানুয়ারিতে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

এদিকে, অ্যান্টার্কটিকায় বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রা দিয়ে ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। দক্ষিণ মেরুর এই মহাদেশে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেখানকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৬৮ ফারেনহাইট)। এর ঠিক তিন আগে সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এটাকে ‘অবিশ্বাস্য ও অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন বলছে, ২০১৬ সাল থেকে চারটি উষ্ণতম জানুয়ারি মাস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর ২০০২ সাল থেকে রেকর্ড করা হয়েছিল দশটি সর্বোচ্চ উষ্ণতম জানুয়ারি।

২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ব্যাপারে বিশ্ব একমত হয়েছিল। প্রাক শিল্প যুগের সঙ্গে তুলনা করে ভয়াবহ বন্যা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, তাপমাত্রা ও মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঠেকাতে দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে তাদের সেই প্রতিশ্রুতি রাখা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অবশ্যই অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। আর তা না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে পৃথিবী।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

 
Electronic Paper