ভালোবাসার একটা দিন তবু ভাইরাসেই মলিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ভালোবাসার মানুষকে চুম্বন ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই দিনে ফাঁকা পড়ে আছে রেস্তোরাঁর চেয়ার-টেবিলে আর মদের বোতলগুলো। এমনই চিত্র এখন চিনের সর্বত্র। তার ছোঁয়া পরেছে সিঙ্গাপুরেও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ২৫টি দেশে আড়াইশর বেশি মানুষের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৮ জন।
আর চীনে এরইমধ্যে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধ লক্ষ পেরিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে হাজারের বেশি মানুষের।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনও অচেনা এই রোগের প্রকোপ চীনের মানুষের মধ্যে যে ভীতি ছড়িয়েছে, তার প্রভাবে সুর হারিয়েছে আনন্দ-উচ্ছ্বলতার ভ্যালেন্টাইনস ডে তে।
বছরের যে সময়ে তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হত চীনের বড় শহরগুলোর রেস্তোরাঁ মালিকদের, সেই সময়ে ফাঁকা পড়ে থাকছে ওই সব রেস্তোরাঁর চেয়ার-টেবিলে আর মদের বোতলগুলো।
ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সারা বিশ্বের মানুষের বিচরণমুখর সিঙ্গাপুরেও ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে কালো ছায়া নিয়ে এসেছে করোনাভাইরাস।
অন্য সময় ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে বিশেষ মেন্যু ও রিজার্ভের বুকিং নিয়ে গলদঘর্ম হতে হলেও ‘এ বছর রিজার্ভের সংখ্যা প্রায় শূন্য’ বলে জানালেন চীনের বাণিজ্য নগরী সাংহাইয়ের রেস্তোরাঁর মালিকরা । “এ বছরও অনেকে বুকিং দিয়েছিল, তারা সবাই ফোন করে তা বাতিল করেছে।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভাষ্য মতে, করোনাভাইরাসের প্রকোপে চীনের বহু ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদেরই একজন বিল হু। এই রোগ দেখা দেওয়ার পর চীনের এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, লোকজনকে ঘরে থাকতে বলছে কর্তৃপক্ষ, যাতে দৃশ্যত ভুতুড়ে চেহারা নিয়েছে বড় শহরগুলো।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার চান্দ্রবর্ষের ছুটি উদযাপনেও লাগাম টানে চীন কর্তৃপক্ষ। চীনাদের ভ্রমণের বড় এই মৌসুমে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন খাত। ওই ছুটি শেষে ১০ ফেব্রুয়ারি অফিস চালু হলেও সহজ হয়নি মানুষের জীবনযাপন।
ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে ব্যবসার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে চাইছেন কেউ কেউ। তবে কর্মী সংকটে সেই কাজও করতে পারছেন না অন্যরা।