প্রচ্ছদ নয়, সবকিছুর উন্নতি প্রয়োজন
শতাব্দী জাহিদ
🕐 ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
আমার কাছে প্রচ্ছদ রেললাইনের দুটি পাতের মতো। এক পাতে শিল্প আরেকটাতে বাণিজ্য। শিল্পীর ভাব চেতনার মিশেলে একটা বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকা হয়। সে বইটি পাঠকের কাছে তুলে দিতে গিয়ে প্রকাশক, পাঠক ও তৃতীয় একটা পক্ষের রুচি ও চাহিদাকে মাথায় রাখতে হয়। বইটির জন্য পাঠক অর্থ ব্যয় করেন, যার দরুন পাঠক ও প্রকাশকের চাহিদাও মাথায় রাখতে হয়। সেহেতু বইটা আর নিজের মধ্যে ধরে রাখা হয়ে ওঠে না। এটা শিল্পের দ্বিতীয় পাত।
তবে কাজটা ভেতরের ভালোলাগা থেকে করা হয়, তাই সীমাবদ্ধটাকে ঠাঁই দিই না। একজন শিল্পীকে সব সময় নিজেকে ভেঙে চুরমার করে নতুনরূপে গড়তে হয়। তাই কাজের সেরাটা নিয়ে বলা মুশকিল। তবে এ বছরে আমার করা সেরা প্রচ্ছদ, শিল্পী ধ্রুব এষের লেখা ‘আধ আঙুলের হিসাব’ বইয়ের। এটা একটা থ্রিলার উপন্যাস।
শিল্পের এ মাধ্যম সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে। অনেক তরুণ প্রকাশনা জগতে আসছে। আবার অনেক তরুণ প্রচ্ছদ আঁকছেন। এটাকে আশার বাণীই বলবো। বই সত্যিকার অর্থেই শিল্পে রুপান্তরিত হবে। শুধু নান্দনিক প্রচ্ছদ নয়, বরং বইয়ের পৃষ্ঠা, অঙ্গসজ্জা, ডিজাইন, মেকআপ, কাগজ বাঁধাই, ছাপার ধরনেরও উন্নতি ঘটছে। এ ব্যাপারে তরুণ প্রকাশকরাই ভাবছে।
আরেকটি ব্যাপার প্রচ্ছদ শিল্পীদের নিত্যকার ঘটনা। প্রচ্ছদ করার পর প্রকাশক ও লেখক কারো কোনো খবর থাকে না। ফেব্রুয়ারি যেহেতু আমাদের আবেগ ও চেতনার মাস তাই এটা নিয়ে আপাতত কিছু না বলি!