ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় খেলোয়াড়দের অভিনন্দন

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

নির্মল আনন্দে ভাসছে দেশ। ক্রিকেটে খেলোয়াড়রা এনে দিয়েছেন অবিস্মরণীয় বিজয়। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটাররা দেশের জন্য বয়ে এনেছেন গৌরবজনক বিশ^কাপ। এমন উপহারে ক্রীড়ামোদি দেশবাসী জেগেছে নবআনন্দে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পারিবারিক আড্ডা, চায়ের স্টলের আলাপচারিতা সব খানেই ছিল সোনার ছেলের প্রশংসা। পঞ্চমুখ দেশবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখে তরুণতর এসব ক্রিকেটারকে নিয়ে।

এ খেলায় সম্ভাবনা ছিল, টস জয়ের পর ভাগ্যও যে অনুকূলে থাকবে তাও অনুভব করা গিয়েছিল আগেই। সঙ্গত কারণেই বোলাররা দিনের শুরুটায় স্বপ্ন দেখালেন, দেখালেনও। একদিকে টেলিভিশন পর্দার সামনে লাখো মানুষের উন্মুখ-আশীর্বাদ অন্যদিকে মাঠে খেলোয়াড়দের নৈপুণ্য- সব মিলিয়ে নতুন এক ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। লাল-সবুজের পতাকায় যুক্ত হলো নতুন পালক। ভারতকে ১৭৭ রানে বেঁধে ফেলার পর, কে না ভাববে ম্যাচটি বাংলাদেশের অনুকূলে নয়! ভারতীয় শিবিরে তখন রাজ্যের হতাশা। এরপর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের আশাজাগানিয়া ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নের ঘরে যুক্ত হয় আরেকটি সম্ভাবনার। হঠাৎ বিষ্ণু ঝড়ে বাংলাদেশের সাজানো স্বপ্ন তছনছ হয়ে যায়। একে একে উইকেট পতনে মুছে যেতে থাকে আকবর আলীদের সম্ভাবনার দ্বার। ভারতীয় এ স্পিনার প্রথম ৪ ওভারেই ১১ রানে দখল করেন ৪ উইকেট।

বিষাদে রূপ নিতে থাকে পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত শিরোপা লড়াইয়ে ফের স্বপ্ন। তা দেখান পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক আকবর আলী। তাদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ দারুণ লড়াইয়ে ফিরে আসে। ইমন ও আকবর আলীর জুটিতে দল পৌঁছায় ১৪৩ রানে। হাতে তখনো সাত ওভার ও ৩ উইকেট। দলনেতা সত্যিকারের ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু ম্যাচটি যখন জয়ের খুব কাছাকাছি ঠিক তখনই বৃষ্টির বাধা। ম্যাচটি পুনরায় মাঠে না গড়ালেও অসুবিধা নেই যুবাদের। তার আগে বিশ্বক্রিকেটকে তাক লাগিয়ে দেয় তারা।

ইতিপূর্বেও ক্রিকেটাররা বাংলাদেশকে দিয়েছে বিজয়ের বরমাল্য। জাতিকে দিয়েছে নতুন উদ্দীপনা। বিজয়ের এ ধারাবাহিকতা অটুট থাকুক। হাজারো সমস্যায় হাবুডুবু খাওয়া দেশবাসী ক্রিকেট উপলক্ষে মেতে ওঠে আনন্দে। নির্মল এ বিনোদনে চাপা পড়ে যায় জাগতিক অনেক অপ্রাপ্তি ও বঞ্চনা। বিজয়ীরা যে বরমাল্য পরিয়েছেন বাংলাদেশের গলায়, এর ভার তাদেরই বইতে হবে আগামীতে। জয়ের এ ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলে আবেগের বাড়াবাড়ি না ঘটিয়ে তাদের জন্য ক্রীড়ানুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মাটি ও মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তারা যেন এগিয়ে যেতেন পারেন, এগিয়ে নিতে পারেন দেশকে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper