প্রচারণা তুঙ্গে
তোফাজ্জল হোসেন
🕐 ১১:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে উঠছে। দুই সিটির মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা নগরীর পাড়া-মহল্লার বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান, কাঁচাবাজার, মার্কেট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভোট প্রার্থনায় চষে বেড়াচ্ছেন। ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা এ চিত্র পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মেনে যত দূর সম্ভব প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।
উত্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আর বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল আর দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এরই মধ্যে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার প্রায় পুরোটা চষে ফেলেছেন। সব জায়গায়ই ভোটাররা তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে ভোটদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ব্যাপারে তারা খুবই সতর্ক।
নগরীর আদাবর এলাকার বাসিন্দা হাজী আবদুস সোবাহান গতকাল দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, এবার ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
চায়ের দোকানদার আবদুল বারেক অবাধ নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করে বলেন, মেয়র পদের নির্বাচন মূলত আলোচনার বিষয়বস্তু হলেও আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় বিএনপির প্রার্থীদের ঠিকভাবে মাঠে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার তাদের পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন প্লে-কার্ড শোভা পাচ্ছে। সমান তালে প্রাচারণা চলছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, ইশরাক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৬টি ওয়ার্ডের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেছেন। অনুরূপ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস নগরীর প্রতিটি এলাকার ভোটাদের কাছে পৌঁছে গেছেন। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী সাইফুউদ্দিন আহমদ মিলনও সমান তালে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি জানাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবেন তিনি।
ইশরাক তুলে ধরেছেন, প্রয়াত পিতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কর্মকাণ্ড। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপাসেনের মুক্তির বাণী। দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস বলছেন, মিলেমিশে ভোট প্রার্থনা করছি। মানুষ যাকে পছন্দ করবেন তাকে জয়যুক্ত করবেন। তিনি শতভাগ ভোটারের কাছে পৌঁছেছেন জানিয়ে বলেন, জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
সেগুনবাগিচার স্থায়ী বাসিন্দা কোরবান আলী গতকাল বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রতিটি এলাকায় সব প্রার্থীর পোস্টার শোভা পাচ্ছে। তিনি বলেন, এ এলাকায়ও তাপস ও ইশরাকের মধ্যে লড়াই হবে, তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিলন ও আরেকজন প্রার্থী আয়াত উল্ল্যাহ আকতারও কিছু ভোট পেতে পারেন। গুলিস্তান খদ্দর মাকেটের দোকানি আবুল বাশার দুলাল বলেন, মেয়র আর কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণার ধরন দেখে মনে হচ্ছে এবার ভোট হবে।
উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিক তার ৯ মাসের কাজের মূল্যায়ন করার পাশাপাশি পূর্ণ মেয়াদে তাকে একবার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করছেন ভোটারদের প্রতি। গতকাল তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল মনে করেন, ভোটাররা এর আগে ভোট দিতে না পেরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। জনগণ এবার ভোট দেবে এবং তার আশা মানুষ এবার পরিবর্তনের পক্ষেই ভোট দেবেন।