বিদ্যালয়ে মৌচাক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক
মাসুদ রানা
🕐 ৪:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের কাকমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ালে প্রায় ১শটি মৌমাছির চাক বসায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলাকাবাসি বলছে শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘটনাটির সংবাদ যেনে স্বচক্ষে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের দেওয়ালের চারিপাশে বারান্দার কাননিশের সঙ্গে দেওয়ালের ভিতরে ও বাইরে এবং কয়েকটি গাছে পাশাপাশি সারিবদ্ধ ভাবে ৯০টি বড় জাতের মৌমাছির চাক অবস্থান করছে।
এলাকাবাসি আশরাফ, জিয়ারুল ইসলাম জানান, গত বছর থেকে এই এলাকায় সরিষার আবাদ শুরু হয়েছে। এবছরও প্রচুর সরিষার আবাদ হওয়ায় বিদ্যালয়ের দেয়ালে মৌচাক বসেছে। বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের মাঝে মধ্যে কামড়ানোর কথা শুনা যায়। তবে মৌচাক দেখে ছেলে মেয়েদের মধ্যে কোনো ভয়ভীতির কথা শুনা যায় না। তাদের সাথে মৌমাছি মিশে আছে।
শিক্ষক কাওসার আলী জানান, অনেক দিন যাবত আমাদের এই বিদ্যালয়ের চারি পাশে কমপক্ষে ১শটির মতো মৌমাছির চাক বসেছে। চাক গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। বড় বড় মৌমাছির চাক। কাউকে কামড়ায় না। স্কুলের ছেলে মেয়েরা দেখে আর ভয় পায় না। তারা সব সময় মৌচাক দেখে রাখে। যাতে কেউ মৌচাকে ঢেল ছুরে না মারে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ওয়ালিদ, অজুফা, আমিন, লাফিয়া, সাথি জানায়, আমরা স্কুলে অবস্থান করা সময় পর্যন্ত কোনো মৌমাছি আমাদের কামড়ায় না। প্রথমে ভয় পেতাম। এখন আমরা ভয়ও পাই না। মৌমাছি আমাদের সাথে মিশে থাকে। তারা কানের কাছে এসে ভনভন শব্দ করে চলে যায়।
এব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, গত কয়েক মাসে সকালে ও বিকালে হঠাৎ করে কোথা থেকে মৌমাছি এসে প্রথমে ৩/৪টি করে পর পর এভাকে প্রায় বিদ্যালয়ের চারিপাশের দেওয়ালে ও কয়েকটি গাছের প্রায় ১শটির মতো চাক জেঁকে বসেছে।
এঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উৎসুক মানুষ মৌমাছির চাক দেখতে আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রতিদিন মৌমাছির চাক ছেড়ে কোথায় যেন উড়ে যায় এবং আবার ফিরে এসে চাকে বসে। তবে এই পর্যায়ে কাউকে কামড়ানো বা আক্রমন করেনি। এধরনের এতো গুলো মৌচাক একটি বিদ্যালয়ে আর কোথাও দেখা যায়নি। তবে এলাকার গন্যমান্য বয়স্ক মানুষ মন্তব্য করছে একটি বিদ্যালয়ে এতে গুলো মৌচাক বসায় এতে শিক্ষক শিক্ষিকা/ ছাত্র ছাত্রীরা ভাগ্যবান।