ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইভিএমে কারচুপি

বিএনপিকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের আহ্বান: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে তার পরিবারের বিশেষ আবেদন করার ব্যাপারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা বিশেষ আবেদনের কথা বলছেন, তারা আসলে আবেদন কার কাছে করবেন? আদালত নাকি সরকারের কাছে? বেগম জিয়া কিন্তু এখন আদালতের এখতিয়ারে। এখানে সহমর্মিতা-সহানুভূতির বিষয় নয়, এটা লিগ্যাল ব্যাপার। আসলে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা বা সহানুভূতির ঘাটতি নাই। কিন্তু এক্ষেত্রে সহানুভূতির কথা বলে তো আমরা আদালতকে প্রভাবিত করতে পারি না। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট কারচুপি হবে এমন অভিযোগ না করে বিএনপিকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে প্রমাণ দিন, কোথায় ইভিএমে ভোট কারচুপি হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনেও ইভিএমের দুই কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ অহেতুক।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১জন নারী চালকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

বিএনপির অভিযোগ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জেতার জন্য সরকার সবকিছু ‘ব্যবহার’ করছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা উল্টো চিত্রটাই জানি। বিএনপি’র নির্বাচনে হেরে যাবার আশঙ্কা আছে। বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য নানামুখি অজুহাত খুঁজছে।’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা কথায় কথায় বলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কই আমি তো কোথাও ভোট চাইতে যাইনি। কোনো নির্বাচনী কার্যালয়েও যাইনি। তারা (বিএনপি) শুধু বিরোধিতার জন্য এসব কথা বলে। অন্ধকারে ঢিল না মেরে প্রমাণ দেন।

তিনি বলেন, তারা তথ্যপ্রমাণ দিক। কোথায় কোথায় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন দেখছেন। সেটাতো প্রমাণ করতে হবে তার প্রমাণ দিক। দেশবাসী জানুক, শুধু মনগড়া কথা বললে তো হবে না! বিএনপি তো অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে। অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মতো বক্তব্য দিলে তো হবে না। কোথায় সরকার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে বলুক। আমি পার্টির সেক্রেটারি। একটা অফিসেও আমি আজ পর্যন্ত যাইনি। তাহলে কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে আমি জানি না। শুধু বললেই হবে না তথ্যপ্রমাণ দিক।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা চাইলেই ইভিএম এর মাধ্যমে জালিয়াতি করতে পারবেন এবং কাউন্সিলরদের সমর্থন দিয়ে প্রত্যেকটি দলের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয় লাভ করেছে। আবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছে। যদি ইভিএমে কারচুপি করার সুযোগ থাকে এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো জালিয়াতি হয় তাহলে চট্টগ্রাম ও উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম কেন? সরকারের যদি এখানে খারাপ কোনো উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে তো নির্বাচনে উপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে যেতো! নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ করা যুক্তিহীন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হয়েছে তারা বলুক কোন জায়গায় কখন কিভাবে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে, একটা অন্তত উল্লেখ করুক। কোনো তথ্য প্রমাণ নেই তারা শুধু বলার জন্য বলেই যাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএমে যদি কারচুপির কলাকৌশল কাজ করে, জালিয়াতির কাজ করে, তাহলে চট্টগ্রামে ভোটার উপস্থিতি বাড়তো না। এসময় ইভিএম পদ্ধতিতে কোথায় কোথায় কারচুপি হয়েছে, তার প্রমাণ দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

 

 
Electronic Paper