তারুণ্যে ভরসা অধিনায়কের
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১২:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু বিপিএলকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা। যেখানে ঠাঁই পেয়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ। এসব তরুণকে নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলামের মতো তরুণদের সামর্থ্যে ভরসা করছেন তিনি। দলে অভিজ্ঞতারও কোনো ঘাটতি নেই। পাকিস্তানে সিরিজ জিততে প্রয়োজন স্রেফ একটা দল হিসেবে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। এই ম্যাচকে সামনে রেখে কাল সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে ভারসাম্যপূর্ণ দলটি নিয়ে নিজের আশার কথা। তিনি বলেছেন, ‘বিপিএল যদি দেখে থাকেন, সেখানে পারফর্ম করা দারুণ এক ঝাঁক তরুণ আছে আমাদের। ওই তরুণদের ওপর আমরা নির্ভর করব। অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আছে দলে; আমি, সৌম্য, তামিম, মুস্তাফিজ, রুবেল অনেক দিন থেকে খেলছি। আল আমিন, শফিউলরাও।’
মাহমুদউল্লাহ আরো বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ মিশ্রণ আছে আমাদের। এখন প্রয়োজন ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে আমাদের খেলা নিয়ে ভাবা। তাহলে ভালো পারফরম্যান্স সম্ভব।’
বিপিএলে ভালো করে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। নাজমুল হোসেন শান্ত টুর্নামেন্টে একমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন সেঞ্চুরি। আরও পরিণত হওয়ার আভাস মিলেছে লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে। আন্দ্রে রাসেলের মুগ্ধতা কুড়িয়েছেন আফিফ। সব মিলিয়ে তরুণরাই এবার অধিনায়কের বাজি, ‘এই তরুণরা ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিপিএলে পারফর্ম করেছে। তাদের সামনে এটি ভালো সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার। আমার ধারণা, এরা সুযোগের জন্য মুখিয়ে আছে।’
বাংলাদেশ দলে যেমন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান নেই, তেমনিভাবে পাকিস্তান দলে নেই মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজের মতো পেসার। অথচ বিপিএলে ভালো করেছেন তারা। মোহাম্মদ ইরফানও তাই। তিন ম্যাচের সিরিজের দলে ডাক মেলেনি অভিজ্ঞ পেসার জুনাইদ খানেরও। তারুণ্য নির্ভর একটি পেস আক্রমণ সাজিয়েছে পাকিস্তান। ১৯ বছর বয়সী তিন পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ মুসা ও শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে আছেন পেস বোলিং। অলরাউন্ডার আহমাদ বাট ও বিগ ব্যাশ লিগে নজর কাড়া হারিস রউফ। তাই আমির-ওয়াহাবদের অনুপস্থিতিটাকে বাড়তি সুবিধা হিসেবে দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ দলপতি জানেন সুযোগ পাওয়া পেসাররাও দলকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিতে পারে। মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘না, আমি সেভাবে ভাবছি না। আমির ও ওয়াহাব অবশ্যই অনেক অভিজ্ঞ বোলার, তবে এটি পাকিস্তানের অন্যদের জন্যও বড় সুযোগ। আমরা ওসব নিয়ে ভাবছি না। আমাদের মনোযোগ নিজেদের শক্তি-দুর্বলতার দিকে, কীভাবে আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারি।’
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান বাবর আজম পাকিস্তানের অধিনায়ক। তরুণ এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে আছেন তিনে, টেস্টে সাতে। এমন একজনকে নিয়ে পরিকল্পনা থাকাটাই স্বাভাবিক।
মাহমুদউল্লাহ জানালেন, অধিনায়কসহ স্বাগতিকদের প্রতিটি ব্যাটসম্যানই আছেন তাদের ভাবনায়, ‘তিন সংস্করণেই বাবর দারুণ খেলছে। অনেক রান করছে এবং সেটির প্রতিফলন র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে, ফুটিয়ে তুলছে সে কতটা ভালো ক্রিকেটার। তবে পাকিস্তানের সব ব্যাটসম্যানকে নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা আছে। কিভাবে তাদের সামলাতে পারি, কীভাবে আউট করতে পারি। আমাদের বোলিং ইউনিট এটা নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারব আমরা।’