ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রোহিঙ্গাদের হত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের নির্দেশ আইসিজের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৫:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে রোহিঙ্গাদের হত্যা কিংবা শারীরিক-মানসিক আঘাত না করতে মিয়ানমারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আইসিজে। আদালত জানিয়েছেন, গাম্বিয়া নিজেদের নামে আবেদন করেছে। তারা চাইলে ওআইসি বা যেকোনো সংস্থা অথবা যেকোনো দেশের সহযোগিতা চাইতে পারে। গাম্বিয়া চাইলে তাদের মামলা চালিয়েও যেতে পারে। দ্য হেগের পিস প্যালেসে আইসিজের বিচারপতি ইউসুফ আলোচিত মামলাটির অন্তর্বর্তী এই আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের হেগে এই আদালতের আদেশে বলা হয়, জেনোসাইড কনভেনশন ২ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের হত্যা, শারীরিক বা মানসিক নিপীড়ন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা যাবে না।

রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আইসিজের কাছে গাম্বিয়া যে পাঁচটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার জন্য আবেদন করেছে তার মধ্যে চারটি মঞ্জুর করেছেন আদালত। গণহত্যা কিংবা গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়াও বলা হয়েছে, মিয়ানমারকে অবশ্যই চার মাসের মধ্যে লিখিত জমা দিতে হবে যেন তারা সেখানে পরিস্থিতি উন্নয়নে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর প্রতি ছয় মাসের মধ্যে আবার প্রতিবেদন দেবে। গাম্বিয়া এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবে বলে জানান আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।

এর আগে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে এমন অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।

গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী নেদারল্যান্ডসের হেগে ওই মামলার শুনানি হয়। এতে মিয়ানমারের পক্ষে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি অংশ নেন। সে সময় তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানকালে কিছু সেনা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন সু চি।

অন্যদিকে, গাম্বিয়া মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখা যায় না বলে জানায়। তারা রোহিঙ্গা গণহত্যা ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অন্তর্বর্তী নির্দেশের দেওয়ার অনুরোধ করে। পরে আজ অন্তর্বর্তী আদেশে আলোচিত এই মামলাটি চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত। মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও আইনজীবীরা আদালতের আদেশের বিষয়ে কোনো ধরনের কথা বলেননি বলে জানা যায়।

 
Electronic Paper