এতে আরও যোগ দেন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান জেনারেল (অব.) বেলাল আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান অ্যাডমিরাল (অব.) ফরিদ হাবিব, লাও অ্যাম্বাসির কনসালট্যান্ট জেনারেল এরিক, সাংসদ অপু, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ছেলে তুহিন। মোশতাক আহমেদ রুহী ছিলেন তাদের কোর্সমেট। পুনর্মিলনীতে সবার সাক্ষাতে সরাবেলা সুন্দর সময় কাটান তারা।

এই পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের এই পুনর্মিলনী জাতির জনকের জন্মশতবর্ষকে আরও উৎসবমুখর করেছে।

নেতৃত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি অনন্য জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনডিসির এ কার্যক্রমে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মাঝে পেশাদারিত্ব এবং জ্ঞানের বিকাশে এনডিসির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশে বিদেশে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রাক্তন সদস্যদের তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ নেতৃত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জাতীয় উন্নয়ন ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অনেক দূর এগিয়েছে। ‘জ্ঞানে নিরাপত্তা’ এ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ সর্বদা তার লক্ষ্য অর্জনে সক্রিয়।

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সকল প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণের জন্য সকল প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট, নতুন পুরাতন সকল ফ্যাকাল্টি, স্টাফ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অব.), মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।