ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্বপ্ন জয়ের অনুভূতি

সোয়াদুজ্জামান সোয়াদ
🕐 ১:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

মানুষ নাকি তার স্বপ্নের মত বড়। সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ১৭২ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাত অনুষদের সাতজন সেরা শিক্ষার্থীও আছেন এই তালিকায়। তাদের এ স্বপ্ন ছোঁয়ার অনুভূতি নিয়ে লিখেছেন সোয়াদুজ্জামান সোয়াদ

মীর তুহিন বিল্লাহ
ফুড প্রসেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

সময়ের কাজ সময়ে করা, নিয়মিত ক্লাস করা, ক্লাস নোট নেওয়া আর লেকচারে মনযোগী হওয়ায় আমার এ সাফল্য। তবে সাফল্য না বলে বরং আমি এটিকে একটি সম্মানজনক অর্জন বলব। একটা ভাল লাগা, ক্যাম্পাসের সবার মধ্যে নিজেকে একটু অন্যভাবে মেলে ধরা, এ অর্জন আসলেই অন্যরকম একটা ভাললাগা, একটা বড় মঞ্চ, যেখানে দেশের বাকি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নিতে পারব। নিজের থেকে বাবা মায়ের কথা ভেবেই বেশি খুশি আমি। গর্ব করার মত আরেকটা মুহূর্ত পাবে তারা। চেষ্টা করব উচ্চতর ডিগ্রির জন্য এবং গবেষণায় নিজেকে নিবিষ্ট করতে।

রুপসানা পারভীন বর্ষা
ভ্যাটেনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদ।

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন থেকে ডাক্তার হওয়া। ইচ্ছা ছিল মানুষের সেবা করার। হয়েছি প্রাণীর সেবক। তাই বা কম কীসে! গবাদি প্রাণীসহ হাজার হাজার অবুঝ প্রাণীর সেবক হতে পেরে গর্ববোধ করি। আমি সর্বদা বিশ^াস করি, স্বপ্ন পূরণে লক্ষ্য স্থির করে মেধাচর্চাই সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি। প্রয়োজন শুধু চর্চার। প্রতি সেমিস্টারে শুরু থেকেই প্রথম স্থান অর্জনের জন্য আজ যে স্বীকৃতিস্বরুপ ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ পাওয়া আমার জন্য অন্যতম সম্মান আর অনুপ্রেরণার উৎস।
মোছা. ববি আক্তার
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ।

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়ায় সত্যিই আমি অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। বাংলাদেশের অন্যান্য মেধাবীদের মধ্যে নিজের নাম থাকা এবং তার ওপর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বর্ণপদক নেওয়া সত্যিই অনেক গর্বের। আমি মনে করি বাবা-মা আমাকে যে স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল আমি সেটা সার্থক করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আমার যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো কিছু করে তাদের মুখে হাসি ফোটানো ও একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশের জন্য কিছু করাই আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

আহসান হাবীব
কৃষি অনুষদ।

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় সত্যিই অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। বাংলাদেশের অন্যান্য মেধাবীদের নামের তালিকায় নিজের নাম খুজে পাওয়াটা সত্যিই অনেক উৎফুল্লকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ পরম উচ্ছ্বাসের, সম্মানের। তাঁর মতো বিশ্বনায়কের কাছ থেকে এমন সম্মাননা পাব এটা ছিল কল্পনাতীত। তবে মানুষ যখন ভালোকিছু করে তার পিছনে কারো না কারো অবদান থাকেই। প্রাণপ্রিয় বাবা-মা, ভাই-বোন এবং সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অপরসীম আস্থা ভালোবাসা, দিকনির্দেশনা, অনুপ্রেরণায় আমার এ অর্জন।

জিনাত রেহেনা
ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ।

মূল্যায়ন পাওয়ার অনুভূতি অনেক আনন্দের। যখন আপনার মতামত মূল্যবান, আপনার কাজ মূল্যবান এবং অন্যের কাছে আপনার অবস্থান মূল্যায়ন পায়, তখন আপনি সুখী। ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ মেধাবীদের জন্য এক মূল্যায়ন যোগ্য ও সম্মানজনক প্রাপ্তি। তার ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পাওয়া সত্যি অনেক আনন্দ ও গর্বের বিষয়।

হাসি আকতার
ইংরেজি বিভাগ।

আজ মনে হচ্ছে যে- মানুষ হয়তো ঠিকই বলে যে, সেই স্বপ্নগুলোই সত্যি হয় যেগুলো জেগে জেগে দেখা হয় ঘুমিয়ে নয়। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়া সত্যিই আমার জন্য একটা বড় অর্জন। আজ নিজেকে সত্যিই অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে যেটা আমাকে অনেক সময় অনেকেই বলেছে। আমার এই অর্জনের পেছনে যাদের অবদান অসামান্য তারা হচ্ছেন আমার মা-বাবা এবং শিক্ষকগণ।

নাজনীন সুলতানা তুহিন
ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

আমার এই অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন আমার বাবা-মা, শিক্ষক। ভালো ফল করা টার্গেট না থাকলেও যখন প্রথম সেমিস্টারে ডিপার্টমেন্টে প্রথম হয়েছি তখন থেকেই একটা জিদ চেপে গিয়েছিল যে আমাকে আমার এই স্থান ধরে রাখতে হবে। আমার লক্ষ্য এবং কঠোর অধ্যবসায় আমার স্বপ্নকে স্পর্শ করতে সাহায্য করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক পাওয়া নিশ্চয়ই আমার কাছে অনেক বড় অর্জন, স্বপ্ন তো ছিলই কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এটা ভাবিনি কখনো।

 
Electronic Paper