অভাবিদের সাহায্য করব কোন পন্থায়?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৮, ২০২০
আকবর হোসেন, চরমটুয়া, সদর নোয়াখালী।
রাসুল (সা.)-এর হাদিসে এসেছে, ইসলামে সবচেয়ে উত্তম প্রতিদানের কাজ অভাবিকে সাহায্য করা, মুমিনের অন্তরকে খুশি করা, ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং নিপীড়িতকে সাহায্য করা। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তার বান্দাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবেন যতক্ষণ সে তার ভাইকে সাহায্য করতে থাকে। (মুসলিম)।
আমাদের চারপাশের অভাবগ্রস্ত ভাইবোনদের সাহায্য করার জন্য অগ্রসর হওয়া উচিত।
সহানুভূতিহীন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ সাহায্য থেকেও অভাবগ্রস্তদের জন্য বড় একটি সাহায্য সহানুভূতিপূর্ণ মানসিক সমর্থন। অভাবির অভাব ও দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানো, প্রয়োজনীয় পরামর্শ তার অভাবকে লঘু করে দেয়। সে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিক শক্তি পায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে চারপাশের দরিদ্রদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি।
ব্যক্তিগতভাবে অর্থসাহায্যের মাধ্যমেও বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা তাদের অর্থ সহায়তা দিতে পারি। দরিদ্রদের সাহায্যের জন্য আমরা সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে তহবিল গঠন করতে পারি। সম্মিলিত এ তহবিল থেকে সাহায্য করতে পারি।
চাল, আটা, তেল, লবণসহ বিভিন্ন খাবার সামগ্রী দিয়ে আমরা দরিদ্রদের সাহায্য করতে পারি। অনেক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত খাবার বেচে যায়। এগুলো ফেলে না দিয়ে তা অভাবিদের বিলিয়ে দেওয়া যায়।
অনেক সময় বাড়িতে অনেক কাপড়, আসবাবপত্র বা অন্যান্য সামগ্রী অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। এগুলো দিয়ে তাদের দুর্দশা লাঘব করতে পারি।
আশপাশের অভাবগ্রস্তদের খোঁজখবর রাখার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে পাশে দাঁড়াতে পারি। তাদের অসুস্থতা ও অন্য কোনো প্রয়োজনে সেবাদান করতে পারি।
পুরাতন আসবাবপত্র বদলে নতুন আসবাবপত্র কেনার সময় পুরাতনগুলো ফেলে না দিয়ে দরিদ্রদের দান করতে পারি।
দরিদ্র ও অভাবিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপায়- অবস্থা অনুধাবন পরবর্তী সহানুভূতি। অবজ্ঞা করে কিছু দান করার থেকে যদি কেউ কিছু দান না করেও তার প্রতি সম্মান ও সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ করে এতে অধিক সহায়তা করা হবে।
দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার মাধ্যমেও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। শিক্ষার সুযোগ যদি তারা গ্রহণ করতে পারে, অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টার সুযোগ পেতে পারে।