স্মৃতিবিজড়িত র্যাগ ডে
মোমেনা আক্তার
🕐 ১:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা চা বাগানের নান্দনিকতায় ঘেরা বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা সিলেট। প্রকৃতির সঙ্গেই তার অবস্থান, তাইতো প্রকৃতির অরণ্যে ঘেরা নান্দনিক এক সবুজ ক্যাম্পাস- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটকে (শাবিপ্রবি) নিজের মতো করেই সাজিয়ে নিয়েছে। এমনি এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ৪টি বছর কাটিয়ে ফেললাম। সম্প্রতি আমাদের অনার্সের শেষ ক্লাস হয়। আমরা মেয়েরা বেশিরভাগই শাড়ি পরি এবং ছেলেরা পরে পাঞ্জাবি।
বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা, অধ্যাপক ড. মো. রিজাউল ইসলাম এবং প্রভাষক মোছা. আঞ্জুমান আরা বেগম। বিকেল প্রায় ৪.১৫ মিনিটে তাদের সঙ্গে কেক কাটা হয়। ফটোশুট নিয়ে আমরা চলে যাই বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে। আড্ডাবাজি শেষে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে আমরা ফানুস উড়াই। দুঃখের বিষয় যে, বেশিরভাগ ফানুসই খোলার সময় ফুটো হয়ে যায়। মুশফিক, মোতালেব, হামজা ফুঁ দিয়ে দিয়ে ওড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। সেখান থেকে যাই সেন্ট্র্রাল অডিটোরিয়ামে, প্রদীপ জ্বালিয়ে ‘বাংলা ১১তম’ লিখে ফটোশুট নেই।
পরদিন শুরু হয় আমাদের র্যাগ ডে। দুপুর ১২টায় আমাদের টি-শার্টগুলো দেওয়া হলে, তাতে লেখা শুরু হয় ৪ বছরে দেখা বন্ধুর গুণ-দোষ। সবাই আড়ম্বরপূর্ণ সাজে সেজে সন্ধ্যা ৬টায় ‘নির্ভানা ইন’ এর উদ্দেশে যাত্রা করি। সুন্দর একটা পরিবেশে আমাদের আড্ডা, গান, খাওয়া, ফটোশুট শেষে রাত ১২টায় হলে ফিরি। এভাবেই আমাদের অনার্স জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। হাজারো স্মৃতিজড়ানো বন্ধু-বান্ধব, বাংলা বিভাগ ও ক্যাম্পাস এ দুটো দিনের মধ্যেই বিদায় জানিয়েছে, ভাবতে এখনও খারাপ লাগে।