ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেড়েই চলেছে ডলারের দাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকট চলছে। ফলে টাকার বিপরীতে ডলারের মান বাড়ছে। দুর্বল হচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ১ টাকা বেশি। তবে সাধারণ মানুষ, যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে ডলার।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি-রফতানির ভারসাম্য না থাকা, বিদেশে অর্থপাচারসহ নানা কারণে ডলারের বাজারে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রফতানি বাণিজ্য ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে কিছুটা উৎসাহিত হলেও বেড়ে যাচ্ছে পণ্য আমদানির ব্যয়। কারণ, আমদানির জন্য বেশি মূল্যে ডলার কিনতে হচ্ছে।

ফলে খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামালসহ সব আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়ছে। সর্বোপরি মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গেল মাসের ২৮ নভেম্বর থেকে আমদানি দায় মেটাতে ব্যবসায়ীদের থেকে দেশি ও বিদেশি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক ডলারের দাম ধরে ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর ১০ পয়সা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিন থেকে এক ডলারের বিপরীতে আমদানি দায় মেটাতে দেশি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো নিচ্ছে সর্বনিম্ন ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর টাকার বিপরীতে পাঁচ পয়সা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অন্যদিকে সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষিত মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী, বিদেশ ব্যাংক আলফালাহ নগদ ডলার বিক্রি করেছে ৮৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আইএফআইসি ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা এবং ব্র্যাক ব্যাংক ৮৭ টাকা ২০ পয়সায় নগদ ডলার বিক্রি করছে। বেসরকারি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করেছে ৮৭ টাকায়।

এছাড়া ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক।

এদিকে ডলারের দাম বাড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমদানিকারক ও সাধারণ ভোক্তারা। কারণ পণ্য আমদানির ব্যয় বেড়ে যাবে। বিশেষ করে আমদানি নির্ভর খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। তবে লাভবান হবেন রফতানিকারক ও রেমিট্যান্স প্রেরণকারীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলারের দাম বাড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। অন্যদিকে লাভবান হন রফতানিকারক ও রেমিট্যান্স প্রেরণকরীরা।

 
Electronic Paper