ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আমন ধানে সুখবর

রবিউল ইসলাম
🕐 ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের তথ্য পাওয়া গেছে। কাঠাপ্রতি (পৌনে ৭ শতাংশ) প্রায় তিন মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। পাশাপাশি এবার ধানের দাম কিছুটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে মণপ্রতি ৭০০ টাকা ধান বিক্রি হচ্ছে। খরচ বাদে প্রতি কাঠায় অন্তত এক হাজার টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে, এরই মধ্যে ৪২ লাখ হেক্টর জমির ধানা কাটা হয়েছে।

ধানের উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টন। এদিকে কোনো কোনো জেলায় প্রতিমণ ধান ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। ফলে গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পারায় বোরো মৌসুমের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ধানের দাম প্রসঙ্গে বলেন, এখন ধানের যে দাম তা মোটামুটি ভালো। তবে দাম আরও একটু বেশি হলে ভালো হতো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ বলেন, সার্বিকভাবে এবার আমনের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে আমনের ক্ষতি হলেও কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়েও এসেছিল। হেক্টরে ২ দশমিক ৮৯ টন করে ধানের উৎপাদন হয়েছে। তবে এ মৌসুমে ধানের পুরো উৎপাদন সম্পর্কে তথ্য জানাতে আরও সময় লাগবে। কারণ এখনও সব জায়গায় ধান কাটা শেষ হয়নি।

দেশের কয়েকটি অঞ্চলের কৃষকের সঙ্গে কথা বলে ধানের ফলন ভালো হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে এবার ধানের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবার ফলন বেশি। কাঠাপ্রতি (পৌনে ৭ শতাংশ) প্রায় তিন মণ ধান হয়েছে। বর্তমানে মণপ্রতি ৭০০ টাকা ধান বিক্রি হচ্ছে। খরচ বাদে প্রতি কাঠায় অন্তত ১ হাজার টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হরশি গ্রামের কৃষক হিমেল বলেন, ফলন এবার বেশ ভালো। কাঠায় (১০ শতাংশ) ধান হয়েছে প্রায় ৫ মণ। ধান বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা মনে।

প্রতিকাঠায় ২ হাজার টাকা খরচ ধরলেও লাভ থাকছে অন্তত ১ হাজার টাকা। গাজীপুরের শ্রীপুরের কৃষক মোক্তার আলম বলেন, ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ১৩ থেকে ১৪ মণ ধান হয়েছে। আমাদের এখানে উৎপাদন কিছুটা কম। শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোয় খরচ বেশি হয়েছে। তবে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

নীলফামারীর কৃষক দীজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, প্রতি বিঘা (৩০ শতাংশ) জমিতে ১০ থেকে ১২ মণ করে ধান হয়েছে। প্রতিবস্তা ধান (৭৫ কেজি) ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক বিঘা জমিতে ধান চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা।

 
Electronic Paper