ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি

রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষার দায় বিশ্বের

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কক্সবাজারের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

গত শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দুবছরেরও বেশি সময় আগে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ৫ লাখ শিশুই এখনো ক্লাসরুম পর্যন্ত যেতে পারেনি। ইউনিসেফ বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যত রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে তার ৬০ শতাংশই শিশু। ১৬ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক শরণার্থী ফোরামের আগে এই বিবৃতি দিল সংস্থাটি।

সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি এক বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের যেহেতু খুব শিগগিরই নিজেদের দেশে ফিরতে পারার সম্ভাবনা নেই। রোহিঙ্গা শিশুরা যেখানে রয়েছে, সেখানে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত হয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ হারিয়ে যেতে দেখবে।

এর ফলে ক্রমে তারা হারিয়ে যাওয়া একটি জনগোষ্ঠীতে পরিণত হতে পারে। তাই তাদের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই তাদের শিক্ষার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। শরণার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ওপর যেসব বিধিনিষেধ বর্তমানে রয়েছে তা উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নিজেদের পদক্ষেপ শুরু করতে পারে।

এমাসের শুরুতে ক্যাম্পের বাইরের স্কুলে রোহিঙ্গা শিশুদের পড়ালেখা করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকেও।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তারা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে কোনো স্কুল-কলেজে পড়তে পারবে না। কারণ তাদের সেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অনুমতি নেই। ২০১৬ সালের পর থেকে এ নিয়মটি বেশ কঠোরভাবে মানা হয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নতুন ক্যাম্পগুলোতে ইতিমধ্যেই এক হাজার স্কুল পরিচালিত হচ্ছে এবং আরেকটি প্রকল্পের আওতায় আরো ৫০০ স্কুলের কার্যক্রম শুরু করা হবে শীঘ্রই।

এছাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে জাতিসংঘ ও বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল ও মাদ্রাসা ছাড়া কুতুপালং ও নয়াপাড়া ক্যাম্পে দু’টি সরকারি স্কুল রয়েছে যেখানে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া যায়।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে পাঁচ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুকিশোর রয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজারের বেশি। আর ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের সংখ্যা সোয়া এক লাখ।

 
Electronic Paper