ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আমতলী মুক্ত দিবস আজ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
🕐 ৪:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯

আজ ১৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বরগুনার আমতলী থানা হানাদার মুক্ত হয়েছিল। ১১ ডিসেম্বর বরগুনার বুকাবুনিয়া ক্যাম্প থেকে নৌকাযোগে প্রয়াত হাবিলদার হাতেম আলী, আফাজ উদ্দিন বিশ্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে দু’দল মুক্তিবাহিনী পঁচাকোড়ালিয়া হয়ে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে আসে।

১২ ডিসেম্বর আফাজ উদ্দিন বিশ্বাস ও নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদারের নেতৃত্বে একদল মুক্তিবাহিনী কুকুয়া ইউনিয়নের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পৌঁছেন। 

ওইখানে প্রয়াত সাবেক এমপি নিজাম তালুকদারের নেতৃত্বে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়। অপরদিকে গলাচিপার মুজিব বাহিনীর হারুন-অর-রশিদ ও আবদুর রব মিয়ার নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা ওই ক্যাম্পে আসেন। দু’গ্রুপ আমতলী থানা মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

১৩ ডিসেম্বর সকালে তারা ওসি রইস উদ্দিন ভূইয়ার সাথে বৈঠক করেন। ওসি শান্তিপূর্ণভাবে আমতলী থানা মুক্তিবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হয়ে ক্যাম্পে তাদের মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান। তবে চিঠিটি ছিল একটি ফাঁদ। মুক্তিবাহিনী থানায় আসলে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ওসির এ পরিকল্পনা মুক্তিবাহিনী জেনে যায়। রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে মুক্তি ও মুজিববাহিনী যৌথভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। জবাবে রইস উদ্দিন ও রাজাকার বাহিনী বর্ষার মতো গুলি ছোড়ে। শুরু হয় যুদ্ধ। রাতভর গুলি বিনিময়ে এক নাম অজানা নৌকার মাঝি শহীদ হয়।

১৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় মুক্তি ও মুজিব বাহিনী যৌথভাবে এবং জাগ্রত জনতা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে থানার প্রধান ফটকে প্রবেশ করে। এ সময় ওসি রইস উদ্দিন ভূইয়া ও তার বাহিনী অস্ত্র তুলে আত্মসমর্পন করে।

 
Electronic Paper