টেকনাফে দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ বন্দুকযুদ্ধে নিহত
টেকনাফ প্রতিনিধি
🕐 ১২:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
কক্সবাজারের টেকনাফে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক দুই ইয়াবা কারবারী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ফের ইয়াবাসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি নয়াবাজারের মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে বার্মাইয়া নুর হাফিজ (৩২) এবং তার সহযোগী সব্বির আহমদের ছেলে মো. সোহেল (২৭)।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তালিকাভুক্ত ৪ জন মাদক কারবারীকে ৮ লাখ ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ডগুলিসহ আটক করে। তারা হলেন- বার্মাইয়া নুর হাফেজ (৩২), মো. সোহেল (২৭), সৈয়দ নুর (২৭) ও সৈয়দ আলম কালু (৪৫)। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্রসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে র্যাব। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভোরে ইয়াবা উদ্ধার ও তাদের অপর সহযোগীদের ধরতে পুলিশের একটি দল গাজীপাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছালে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং পুলিশের কাছ থেকে তাদের সহযোগীদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
এ সময় তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে থানার এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত, সনজীব দত্ত, কনেস্টেবল মহিউদ্দিন, সেকান্দর গুলিবিদ্ধ হন। এমন পরিস্থিতি পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ী আহত হন। এরপর তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরও জানান, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান, মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।