ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আত্রাই মুক্ত দিবস আজ

নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ
🕐 ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯

১৪ ডিসেম্বর নওগাঁর আত্রাইবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে আত্রাই উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।

স্বাধীনতার সংগ্রামে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মতো এ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের নয় মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর আজকের দিনে শত্রুমুক্ত হয়ে বিজয় উল্লাস আর ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ জয়ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল উপজেলার আকাশ-বাতাস। পাক হানাদাররা অসংখ্য কত জীবন বলিদান এবং কত অসহায় মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান কেউ জানে না।

এছাড়াও পঙ্গুত্বের অভিশাপ আর মা-বাবা, স্বামী, স্ত্রী, ভাই, বোন হারানো অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এখনও অনেক নারী-পুরুষ বেঁচে আছে। স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ তাদের খোঁজ-খবর রাখেনি।

সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান বলেন, সেই সময় চলাচলের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো ছিল না। রেলপথই ছিল সহজভাবে চলাচলের জন্য সুবিধাজনক বাহন। তাই আমরা বুদ্ধি করে ৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে আত্রাই-সান্তাহার অংশে সাহাগোলা রেল ব্রিজটি ধ্বংস করে দিই। এতে করে নাটোর থেকে পাক-বাহিনীর সেনা বহনকারী একটি স্পেশাল ট্রেন রাতে লাইট বন্ধ করে ওই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটি ওই ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। পানিতে ডুবে অনেক পাক-সেনা নিহত হয়। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় জয় ছিল।

তিনি আরও বলেন, পাক-বাহিনীরা যুদ্ধে আমাদের সঙ্গে না পেরে নাটোরের অভিমুখে পালিয়ে যায়। পরে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিকামী জনতা রাত ২টায় প্রথমে থানায় পদার্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। আর আমরা এভাবেই অনেকটা কম পরিশ্রম ও কম হানাহানির মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর আত্রাই উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করি।

 
Electronic Paper