তামিম-পেরেরা ঝড়ে বড় সংগ্রহ ঢাকার
খেলা ডেস্ক
🕐 ৯:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে ঢাকা প্লাটুনকে। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ন্যুনতম লড়াইটাও করতে পারেনি তারকাখচিত দলটি। তবে যে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাদের কি এক হারেই আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যাবে?
দ্বিতীয় ম্যাচেই জ্বলে ওঠেছেন ঢাকা প্লাটুনের ব্যাটসম্যানরা। আলাদা করে বলতে হয় তামিম ইকবালের কথা। বহুদিন পর ব্যাটে রানের দেখা পেয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার, তুলেছেন ঝড়। তার সঙ্গে থিসারা পেরেরার তাণ্ডবে ৭ উইকেটে ১৮০ রান তুলেছে ঢাকা।
অথচ ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল মাশরাফির দল। প্রথম বলেই মুজিব উর রহমানের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। চমক দেখিয়ে লোয়ার অর্ডারের মেহেদী হাসানকে তিন নম্বরে পাঠায় ঢাকা। মেহেদী অবশ্য ১৭ বলে ১২ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
তবে এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তামিম। উইকেটের চারদিকে বাহারি সব শট খেলতে থাকেন। মাঝে ২৪ বলে ২৩ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন লরি ইভান্স।
উইকেটে আসেন থিসারা পেরেরা। সেখান থেকে তামিম-থিসারার তাণ্ডব চলতে থাকে। ১৭তম ওভারে দাসুন শানাকার ওপর চড়াও হন তামিম। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ২টি আর ১টি ছক্কা হাঁকান। কিন্তু শেষ বলে তাকে তুলে মারতে গিয়ে সাব্বির রহমানের ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৫৩ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় গড়া তামিমের ৭৪ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসের সমাপ্তি তাতেই।
তামিম আউট হওয়ার পরই ৫ বলের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে ঢাকা প্লাটুন। এর মধ্যে সৌম্য সরকার এক ওভারেই ফেরান শহীদ আফ্রিদি (২ বলে ৪ রান) আর ওয়াহাব রিয়াজকে (১ বলে ০)।
তবে থিসারা পেরেরা একটা প্রান্ত ধরে ঠিকই এগিয়ে নিয়েছেন দলকে। ১৭ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে। ৫ বলে ১ ছক্কায় ৯ রান করে ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে রানআউট হন মাশরাফি।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার আর দাসুন শানাকা।