পাইলিং ছাড়াই সেতু নির্মাণ
আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৬:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বর্লি পাইলিং ছাড়াই সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তবে নিম্নমানের সামগ্রীতে কাজ শুরু করায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ যোগাযোগ সচল রাখতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সাতটি সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয় ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দরপত্রের মাধ্যমে এসব সেতু নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ প্রদান করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। যার প্রেক্ষিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদাররা।
এর মধ্যে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গন্ধমরুয়া দোলার উপর ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পান গোলাম রব্বানী সোহেল নামে এক ঠিকাদার। কিন্তু সেতুটি কমিশনে ক্রয় করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন শামীম আলম নামে স্থানীয় একজন ঠিকাদার। সেতুর স্থায়ীত্ব রক্ষার বর্লি পাইলিং না করেই সিসি ঢালাই শেষ করেন ঠিকাদার।
যার ফলে সেতুটি সামান্য স্রোতে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সেতুটি সিসি ঢালাই কাজে আকারে বড় ও নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করার অভিযোগে সম্প্রতি পরিদর্শনে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর আলী।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল হক বলেন, গন্ধমরুয়া দোলায় মাটির গুনাগুন ভালো থাকায় বর্লি পাইলিং দেওয়া হয়নি। যার অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তবে ওই সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের পাথর অপসারণ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেতু নির্মাণ কাজের স্টিমেট ইউএনওর নির্দেশ ছাড়া কাউকে দেখানো যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, পাথর সমস্যার কারণে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্লি পাইলিংয়ের বিষয়টি জানা নেই। তবে স্টিমেট অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রকৌশলী মনে করেন বর্লি পাইলিংয়ের প্রয়োজন নেই। তবে সেই অর্থ ফেরত দিতে প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের কাছে চুক্তিনামা করে নেওয়া হবে।