ঢাকার হতাশার নাম রান আউট
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুরুটা ভালো হলো না শিরোপা প্রত্যাশী ঢাকা প্লাটুনের। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফিদের ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচ হারের পর তিন রান আউটকেই দায়ী করলেন ঢাকা অধিনায়ক মাশরাফি।
আগে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ৭৮ রান ছিল ঢাকার। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৩৪! ঢাকার সংগ্রহ বড় হতে পারতো। সেটা সম্ভব হয়নি তিন ব্যাটসম্যান জাকের আলি, আরিফুল হক ও মেহেদি হাসানের রান আউটে। অধিনায়ক মাশরাফি মনে করেন এসব রান আউটই কাল হয়েছে তাঁদের জন্য।
কাল ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে মাশরাফি বলেছেন, ‘এটা ভালো উইকেট ছিল। ১৬০ রান করা সম্ভব ছিল, আমরা সেই পথেই ছিলাম। তিনটি রান আউট আমাদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে। এখনো অনেক ম্যাচ বাকি। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট সময় হাতে রয়েছে। ছোট-ছোট কিছু ভুল আমাদের ভুগিয়েছে। চেষ্টা করতে হবে, এগুলোর পুনরাবৃত্তি না করার।’
ইংল্যান্ডে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বিপিএল দিয়েই মাঠের ক্রিকেটে ফিরেছেন মাশরাফি। ব্যাটে হাত ঝড় তুললেও বল হাতে সুবিধা করতে পারেননি ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক। তার পারফরম্যান্সে দেখা গেছে জড়তার ছাপ। দীর্ঘদিন পর মাঠে নামা জাতীয় দলের আরেক তারকা তামিম ইকবাল তো এ দিন ৫ রানেই আউট হয়ে গেছেন।
মাশরাফির মতে লম্বা সময় মাঠের বাইরের থাকার কারণেই তার এই ছন্দহীনতা। তিনি বলেছেন, ‘অনেক সময় মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। যদিও এটা অজুহাতের মতো শোনায়...অনেক দিন পরে নেমেছি তাই একটু জড়তা যে নেই, তা নয়। ক্রিকেটাররা অনেকদিন বাইরে থাকলে এই সমস্যাগুলো হয়। হয়তো ৩-৪ ম্যাচ গেলে এটা ঠিক হয়ে যাবে।’
মাশরাফিকে কিছুটা ভোগাচ্ছে ইনজুরিও। তিনি বলেছেন, ‘পিঠে একটু চোট ছিল। অনেক দিন খেলার বাইরে আছি যেহেতু, ছোটখাটো চোট থাকার কথা ছিল না। কিন্তু আছে। (অনেকদিন পর) শুরু করলে টুকটাক সমস্যা থাকেই, আমার কাছে মনে হয় এগুলো বড় কিছু না। কারণ আগেও এগুলো পার করে এসেছি। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’
তামিমের দুঃস্বপ্নের ফেরা নিয়ে হতাশ নন মাশরাফি। তবে সতীর্থ যে চোট থেকে সেরে উঠেছেন সেটা মানছেন তিনি। তামিমেরও রান না পাওয়ার কারণ দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকাটাকেই মনে করছেন অধিনায়ক।
তার ভাষায়, ‘তামিমের চোট-সমস্যা ছিল না। ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন নানা কারণে। আমার মনে হয় না তামিমকে নিয়ে বেশি চিন্তা করার কিছু আছে। গতবারও তামিম বেশিরভাগ ম্যাচে এমন পারফরম্যান্সের ভেতর দিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ম্যাচজয়ী ইনিংস ওরই ছিল। তামিম এটা বারবারই প্রমাণ করে এসেছে।’