ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘বদনজর’ কেমন বিশ্বাস?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:১১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

নজরলাগা বা বদনজর লাগা সত্য বিষয়। কোরআন থেকে এ বিষয়ে দলিল পাওয়া যায়। একাধিক হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বদনজরের কু-প্রভাব ও প্রতিকারের পদ্ধতি বলে দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন- এবং (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) বললেন, হে আমার প্রিয় সন্তানগণ! তোমরা সবাই (শহরে) কোনো এক প্রবেশপথে প্রবেশ করো না বরং বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করো।

আমি তোমাদের আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব না। কেননা প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী কেবল আল্লাহ। তার ওপর আমার আস্থা রয়েছে। ভরসাকারীকে ভরসা করলে তার প্রতিই করতে হবে। আর যখন তারা দিয়েছিলেন অথচ আল্লাহতায়ালার নির্ধারিত কোনো কিছু থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। তবুও ইয়াকুবের (আলাইহিস সালাম) অন্তরে একটি আশা ছিল, তিনি তা পূর্ণ করেছেন। নিশ্চয় তিনি ইলমের (নবুওয়াতের) বাহক ছিলেন। অথচ অনেক লোক তা জানে না। (সূরা ইউসুফ-৬৭-৬৮)।

আল্লামা ইবনে কাসীর (র.) উপরোক্ত আয়াত দুটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, এটা সেই সময়ের ঘটনা যখন ইয়াকুব (আ.) ইউসুফ (আ.)-এর ভাই বিন ইয়ামিনকে তার অন্য ভাইদের সঙ্গে মিসরে পাঠিয়েছিলেন। আয়াতে ইয়াকুব (আ.)-এর উক্ত নির্দেশনার ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) মুহাম্মাদ বিন কা’ব, মুজাহিদ, যাহহাক, কাতাদা এবং সুদী (র.) প্রমুখ মুহাদ্দিস বলেছেন, এমনটি তিনি বদনজরের ভয়ে বলেছিলেন। কারণ, তার সন্তানরা খুবই সুন্দর সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন।

তাই তাদের ওপর লোকদের বদনজরের আশঙ্কা করে তিনি উক্ত নির্দেশ দেন। কেননা, বদনজরের ক্রিয়া বাস্তব; কিন্তু পরে তিনি এও বলেন- তবে এ ব্যবস্থা আল্লাহর তাকদিরকে প্রতিহত করতে পারবে না। তিনি যা চাইবেন তাই হবে। পরিশেষে তা তাদের জন্য বদনজর হতে প্রতিরোধক হিসেবেই আল্লাহর হুকুমে কাজ হয়েছিল। (তাফসির ইবনে কাসীর-২/৪৮৫)।

 
Electronic Paper