‘ইয়েস ম্যাডাম’ ছবিতে পপির অভিনয় প্রসঙ্গে শুরুতে জানতে চাওয়া হয় এই ছবির পরিচালক রকিবুল আলম রকিবের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে এই ছবির জন্য চিত্রনায়িকা পপিকে নির্বাচন করেছিলাম। তার সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়। কিন্তু পপি ছবির গল্প পরিবর্তন করার জন্য আমাদের বলেছিলেন। তবে আমরা সেটা করিনি। তাই তিনি এই ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অভিনয় করবেন না বলে আমাদের জানিয়ে দেন। এরপর আমরা নতুন করে ছবির নায়িকা চূড়ান্ত করি।’
বিষয়টি নিয়ে চিত্রনায়িকা পপি বলেন, ‘গল্প ও চরিত্রটি আমার মনের মতো হয়নি। এছাড়াও এতে একাধিক নায়িকা থাকার কারণে ছবিতে অভিনয় করা হয়নি। কিছু সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম, বাদ পড়েছেন পপি বা পপির জায়গায় অমুক লিখে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এটা কেন? আমার জায়গায় অমুক কেন হবে বা বাদ কেন হবে? কারো স্থান কি কেউ নিতে পারে। বাদ দেওয়া কথাটি একজন শিল্পীর জন্য খুবই দুঃখজনক ও অসম্মানজনক। বিশ্বের কোথাও কি এমন হয়?’
ক্ষোভ নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিজেরাই তো নিজেদের সম্মান করি না। অন্যদের কেন দোষ দেব। আমার আজকের এই অবস্থান কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। আজকের এই পপি হতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি চাইলে, প্রতি মাসে একটি করে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারি। তাহলে কি ছবির মান ধরে রাখা যাবে। আমি মনে করি, না। আমাকে আমার ক্যারিয়ার দেখতে হবে। ভালো-মন্দ বুঝে অভিনয় করতে হবে। আমি তাই করছি, আর করেই যাবো। প্রয়োজনে বছরে একটি কাজ করবো আর না হয় বসে থাকবো।’