ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কৃপণতা দোষ নাকি গুণ?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:২০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৪, ২০২১

সাংসারিক কাজে কৃপণতা উচিত?
যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য যে ক্ষেত্রে খরচ করা বাঞ্ছনীয় সে ক্ষেত্রে খরচ করে না সে কৃপণ। কৃপণতা একটি মন্দ গুণ। কৃপণতার চেয়ে মন্দ গুণ আর কী হতে পারে? কৃপণতার সীমারেখা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আলেমগণের বিবিধ বক্তব্য পাওয়া যায়।

ইবনুল মুফলিহ (রহ.) বলেন, আলেমগণ কৃপণতার সীমারেখার ব্যাপারে কয়েকটি মত উল্লেখ করেছেন-

জাকাত প্রদান না করা। যে ব্যক্তি জাকাত আদায় করল সে ব্যক্তি কৃপণতার অভিধা থেকে রেহাই পেল।

ফরজ জাকাত ও ফরজ খরচাদি বহন না করা। এ অভিমতের ভিত্তিতে কেউ যদি জাকাত প্রদান করে কিন্তু অন্য ফরজ খরচ প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তাকে কৃপণ হিসেবে গণ্য করা হবে।

কী বলেন ইমাম গাজ্জালি?
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি তার উপরে ফরজ খরচ প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে সে কৃপণ। সুতরাং কেউ যদি তার উপরে যা কিছু খরচ করা ফরজ সেগুলো আদায় করে তাহলে তাকে কৃপণ বলা যাবে না। বরং কৃপণ হলো যে ব্যক্তির দায়িত্বে যা দেওয়া ও খরচ করার দায়িত্ব সেটা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, কৃপণ হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে ব্যক্তি এমন স্থানে খরচ করতে অস্বীকৃতি জানায় যেখানে খরচ করা বাঞ্ছনীয়; সেটা শরিয়তের বিধানের নিরিখে হোক, কিংবা ব্যক্তিত্ব রক্ষার নিরিখে হোক। এর পরিমাপ নির্দিষ্ট করা সম্ভবপর নয়।

গৃহকর্তার করণীয় কী?
পুরুষের উপর ফরজ তার স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ব্যয় করা। খরচাদির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে- খাদ্য, পানীয়, পোশাক ও বাসস্থান এবং স্ত্রী ও সন্তানদের যাবতীয় যা কিছু প্রয়োজন; যেগুলো না হলে নয়। যেমন- চিকিৎসার খরচ, শিক্ষা খরচ ইত্যাদি।

খরচাদি প্রদান করা হবে, স্বামীর সামর্থ্য ও তার আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্ তাআলার বাণী- বিত্তবান তার সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে।

 
Electronic Paper