সমুদ্র সৈকতে ‘ন ডরাই’
বিনোদন প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
গত ২৯ নভেম্বও মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে সার্ফিং নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ন ডরাই’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান। প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও সুনেরা বিনতে কামাল। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে।
মুক্তির আগে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটির প্রিমিয়ার হলেও গত ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছবিটির এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো ছবির ‘বিচ প্রিমিয়ার’ এটি।
৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সায়মান বিচ রিসোর্টের সামনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য প্রদর্শিত হয় ‘ন ডরাই’। এতে উপস্থিত ছিলেন ছবির প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। স্থানীয় সার্ফারদেরও এ প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদেরকে টি শার্টসহ বিশেষ উপহারও দেওয়া হয়। প্রদর্শনী শেষে অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয় বারবিকিউ পার্টি।
‘পুরো আয়োজনটিই ছিলো মনোমুগ্ধকর। নিচে বালুকণা, ওপরে পরিষ্কার আকাশে ফুটে ওঠা নক্ষত্র আর চাঁদের আলো, পাশ থেকে মশালের আলো কাটিয়ে ভেসে আসা সমুদ্রের মৃদু গর্জন আর সামনে সুবিশাল পর্দায় চলছে ‘ন ডরাই’; সত্যিই অভূতপূর্ব এক দৃশ্য ছিলো এটি’-এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন একজন দর্শক।
এ আয়োজনের মূল ব্যক্তি ছবির প্রযোজক মাহবুব রহমান রুহেল।
তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেয়ার। ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী, চিত্রায়নসহ সবকিছুতে অভিনবত্বের ছাপ রাখার প্রয়াস ছিলো আমাদের। সাহসী নারীর গল্পের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আকর্ষণীয়রূপে পর্দায় উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিচ প্রিমিয়ারও এই নতুনত্বের প্রয়াসের একটি অংশ। ছবি মুক্তির পর থেকে এ যাবৎ দর্শকদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার চেষ্টা অনেকখানি সার্থক বলে মনে করি।’
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’। এই শব্দের অর্থ ‘ভয় করি না’। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা নারীদের উৎসাহিত করবে বলে জানান পরিচালক।