বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস
ভারতজুড়ে হৈচৈ
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের পার্লামেন্ট। সোমবার নিম্নকক্ষ লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি উত্থাপন করেন। ৯০ মিনিট উত্তপ্ত বিতর্কের পর ২৯৩-৮২ ভোটের ব্যবধানে এটি পাস হয়। আইনে পরিণত হতে হলে বিলটির এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে হবে।
তবে সেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিলটিকে ‘মুসলিমবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিলটি পাস হওয়ার পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিলটির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
বিজেপি সরকার বলছে, এই বিল পাসের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থল হবে ভারত। তবে সমালোচকদের মতে, বিজেপি’র মুসলমান জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করার নীতির অংশ হিসেবেই পার্লামেন্টে বিল তোলা হয়েছে।
এ দিন লোকসভায় বিলের তীব্র বিরোধিতা করেন কংগ্রেসসহ অধিকাংশ বিরোধী দলের এমপিরা। বিলটি ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসসহ বিভিন্ন বিরোধী দল।
এসব দলের নেতারা বলেন, ‘আমাদের দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের নিশানা করেই এই বিলটি বানানো হয়েছে।’
জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি, ও খ্রিস্টানদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। ওই তিন দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই বিল।’ তার এই মন্তব্যের পরই লোকসভায় তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেসসহ বিরোধী সাংসদরা। উত্তেজিত হয়ে পাল্টা অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেসই ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাজন করেছে।’
বিলটি নিয়ে সংসদের ভিতরে যেমন তরজা শুরু হয়েছে, তেমনই বিক্ষোভ চলছে বাইরেও। এ দিন বিল পেশের আগে দিল্লিতে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন সংগঠন।
ওই বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ, যারা এ দেশে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিলটিতে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালকে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ ওই দিনের আগে যারা ভারতে এসেছেন, তারাই নাগরিকত্ব পাবেন।