সরকারি চাকরিতে উপস্থিতি বিধি জারি
দেরি করলে কাটা যাবে বেতন
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি ও কর্মস্থল ত্যাগ এবং দেরিতে উপস্থিতির বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে ‘সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯’ জারি করেছে সরকার। সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৮ এর আলোকে এই বিধিমালা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিধিমালায় বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ এবং দেরিতে কর্মস্থলে উপস্থিতির দণ্ডের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে যুক্তিসঙ্গত কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করা যাবে। এ ছাড়া পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস চলাকালীন অফিস ত্যাগ করতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে।
তবে জরুরি প্রয়োজনে, কোনো সহকর্মীকে অবগত করে অফিস ত্যাগ করা যাবে। এবং এই বিধিমালার তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত রেজিস্টারের এরূপ অবস্থানের কারণ সময় এতে উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন করলে একদিনের সমপরিমাণ মূল বেতনের অর্থ কর্তন করতে পারবে।
আরও বলা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে একাধিকবার এসব কাজ করলে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সাতদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করতে পারবে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়ে হাতের সংশোধন বাতিল বা বহাল রাখতে পারবে। দণ্ডের অর্থ কর্তন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মাসিক বেতন থেকে কর্তন করে আদায় করতে হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।