ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শুধু গিরার ব্যথায় ভুগছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিনে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ ও ভালোই আছেন। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে। শ্বাসকষ্ট নেই, দাঁতের সমস্যাও ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু দাঁতটা ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও এখনো ফেলা হয়নি।

সব রোগ ভালোর দিকে থাকলেও গিরার ব্যথা আগের মতোই রয়ে গেছে। কিছুটা শীত নামায় বরং ব্যথাটা বেড়েছে। এ কারণে নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। হুইল চেয়ারে বসেই চলাফেরা করতে হয়।

গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড (মেডিসিন, অর্থপেডিক, বক্ষব্যাধি, বাতজ্বর, কার্ডিওলজি ও ফিজিক্যাল মেডিসিন) খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য এসব তথ্য জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে কি-না? জানতে চাইলে একাধিক সদস্য জানান, মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা সরাসরি কোনো প্রতিবেদন দেন না। শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে রোগীর ফাইলে মতামত দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোট দেখে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন তৈরি করেন।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের নির্দেশনা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে এ প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় তা আদালতে দাখিল করা হয়নি।

এদিন খালেদার স্বাস্থ্যগত তথ্যের প্রতিবেদন দাখিলে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রধান বিচারপতি এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

মেডিকেল বোর্ডপ্রধান বিএসএমএমইউ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক জিলন মিঞা সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাশাল্লাহ ভালো আছেন। তবে গত ১ এপ্রিল ভর্তির দিন যেমন ব্যথাজনিত কারণে কষ্ট ছিল, এখনো তেমন কষ্ট আছে। ওনার অনুমতি না পাওয়ায় সর্বাধুনিক চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ওনাকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানালেও তিনি রাজি হননি।

উনি বলেছেন, উনার কোনো এক আত্মীয় ওই চিকিৎসা নিতে গিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। তাই উনি ঝুঁকি নিতে চান না। তিনি রাজি না হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড আর পীড়াপীড়ি করেনি। এ কারণে তার গিরার ব্যথা ভর্তির সময় যেমন ছিল, তেমনই রয়ে গেছে।

 
Electronic Paper