ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মেঘনাপাড়ে ভাঙন আতঙ্ক

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীপাড়ের মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। একটি অসাধু চক্র নদীর তীর কেটে জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় নিচ্ছে মাটি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মেঘানপাড়ের মাটি কাটা।

নদীর তীর কেটে নেওয়ায় ভাঙন বেড়ে আরও হুমকির পড়ছে বিশাল এলাকা। যে কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক।

চর কালকিনি ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশত শ্রমিক নদীর তীর ঘেঁসে মাটি কেটে ১০-১২টি ট্রাক্টরে বোঝাই করে মাটি নিচ্ছে। এভাবেই গত কয়েকদিন থেকে অব্যাহতভাবে মাটি কেটে নিতে দেখা গেছে।

কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় জমির মালিকদের মাটি বিক্রির জন্য প্রলুব্ধ করছে। নদীতে জমি ভেঙে যাবে এ আতঙ্ক ছড়িয়ে নামমাত্র টাকা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নদী তীরের মাটি।

এলাকাবাসী জানান, কমলনগর নদীভাঙন কবলিত এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে এভাবে মাটি কেটে নিতে থাকলে ভাঙন আরও বাড়বে। বিলীন হবে বিস্তীর্ণ জনপদ।

হুমকির মুখে পড়বে হাজার হাজার পরিবার। নদীর তীর রক্ষা বাঁধের মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর পাশ থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

কমলনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, ইচ্ছে করে কেউ মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে পারে না। কেউ যাতে নদীর তীর থেকে মাটি কাটতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর থাকবো।

কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, একটি চক্র জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে মাটি কিনে ইটের ভাটায় দিচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে কমলনগর।

এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। যারা মাটি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 
Electronic Paper