ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বন উজাড় করে নৌকা তৈরি

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৫:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯

কক্সবাজারের চকরিয়া উপকূলীয় অঞ্চলের সুন্দরবন রেঞ্জের উজানটিয়া বন বিটের অধীন সাত পয়েন্টে সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চোরাই কাঠ দিয়ে দেদারছে চলছে ফিশিং বোট তৈরির মহোৎসব। বন বিভাগের কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই কতিপয় লোকজন বদরখালী সেতুর পাশে এবং মাতামুহুরী নদীরজুড়ে অন্তত সাতটি পয়েন্টে ফিশিং বোট তৈরিতে নেমেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বোট তৈরিতে জড়িতদের সঙ্গে বন কর্মীদের অলিখিত সমঝোতা রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বদরখালী সেতুর পাশে এবং মাতামুহুরী নদীর তীরে বোট তৈরির কাজ অব্যাহত থাকলেও তা বন্ধে বনকর্মীরা পালন করছে নীরব ভূমিকা।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে জেগে উঠা চরে কতিপয় চক্র বনাঞ্চলের মাদার গাছ নিধন করে একাধিক ফিশিং বোট তৈরির কাজ শুরু করেন। অন্য বছরের মতো এ বছরও নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে ফিশিং বোট তৈরির কার্যক্রম।

অভিযোগ উঠেছে, কয়েক মাস আগে বদরখালী সেতুর পাশে নির্মাণাধীন এসব ফিশিং বোট মালিকদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন উজানটিয়া বন বিট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্র। ফলে বদরখালী সেতুর পাশে ফিশিং বোট তৈরি অব্যাহত থাকলেও বনকর্মীরা রয়েছেন দর্শকের ভূমিকায়।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উজানটিয়া বনবিট কর্মকর্তা সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের অস্থায়ী অফিস কার্যক্রম চলছে বদরখালীতে ভাড়া করা একটি ঘরে। আমি সেখানে যাই না। আদালতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সেই কারণে একজন বনকর্মী এসব দেখভাল করছেন।

তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, ফিশিং বোট তৈরিতে জড়িতদের সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্তা নেই। তারপরও আমার অফিসের কোনো লোক এ ধরনের কাজে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব।

জানতে চাইলে চকরিয়া রেঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম হাফিজুর রহমান বলেন, চকরিয়া রেঞ্জের অধীন বদরখালী সেতুর পাশে এত পরিমান ফিশিং বোট তৈরির করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমাকে বিট কর্মকর্তা জানাননি।

যেসব ফিশিং বোট তৈরি হচ্ছে তার কোনোটি বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়নি। তবে বোট তৈরিতে ব্যবহৃত কাঠ সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা নাকি নিলামের কাঠ তা দেখে বলতে হবে।

 
Electronic Paper