নোয়াখালী মুক্ত দিবস আজ
ইকবাল হোসেন সুমন, নোয়াখালী
🕐 ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
আজ ৭ ডিসেম্বর ‘নোয়াখালী মুক্ত দিবস’। ১৯৭১-এর ৭ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল অবিভক্ত নোয়াখালী। এ দিন প্রত্যুষে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, ডেপুটি কমান্ডার মমিন উল্যাহ এবং সি জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী আক্রমণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। একযোগে তারা তিনটি রাজাকার ক্যাম্প দখল করেন। আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানিদের রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবস্থা বেগতিক দেখে নোয়াখালী পিটিআই ট্রেনিং সেন্টার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় খান সেনারা।
নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ ডিসেম্বরের স্মৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে ১৯৯৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী পিটিআই সম্মুখে স্থাপন করা হয় স্মরণিকা স্তম্ভ ‘মুক্ত নোয়াখালী’। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একই স্থানে বর্ধিত পরিসরে নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চ স্থাপন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর মুক্তিকামী ছাত্রজনতা পুলিশ ও ইপিআর ফেরত জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালী ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীকালে পাকবাহিনীর হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটলে নোয়াখালীর নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তানিরা। নোয়াখালী পিটিআই এবং বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তোলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে রাজাকাররা মিলে শুরু করে লুটপাট। এরই মধ্যে নোয়াখালীর অসংখ্য ছাত্রজনতা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত থেকে এসে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জ মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরদিন ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোটা নোয়াখালী।