ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করুন

ফের আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯

শিক্ষাকে তুলনা করা হয় জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে। সেই শিক্ষাঙ্গনেই যখন অস্থিরতা দেখা দেয়, বিঘ্নিত হয় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ তা জাতির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ উঠেছে সেটাকে ঘিরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ইতিপূর্বে চাঁদাবাজি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দেওয়া হলেও কাটেনি অচলাবস্থা। উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে একশ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলন চালিয়ে গেলেও অন্যপক্ষও অবস্থানে অনড়। সরাসরি উপাচার্যের পক্ষাবলম্বন করে জাবি ছাত্রলীগ যে ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে তা চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়।

জাবি ভিসি ফারজানা ইসলামকে অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এক মাস পর গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস খুলেছে। বেলা সোয়া ১টার দিকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া অভিযোগ জানিয়ে বলেন, গত ৫ নভেম্বর ভিসির মদদে ছাত্রলীগ আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে নির্মম হামলা চালিয়েছিল। ভিসির দুর্নীতির খতিয়ান দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও আমরা তা দেখতে চাই। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এ উপাচার্যকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমামুক্ত করতে চাই।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুশফিক-উস-সালেহীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি বিজয় অর্জন করেছেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে উপাচার্য আমাদের ওপর ঠিক এক মাস আগে হামলা চালিয়েছিলেন। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যদি আবার ঘটে তাহলে জাহাঙ্গীরনগর আবার অস্থির হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য দুর্নীতি করেছেন নাকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে, বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কিন্তু সেটি স্পষ্ট হওয়া খুব জরুরি। যদি সত্যিই দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে একা উপাচার্যের পক্ষে এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে অন্যদেরও জড়িত থাকার সম্ভাবনা আছে। সেসব বের করা উচিত। এক পক্ষ বলছে দুর্নীতি হয়েছে, আরেক পক্ষ বলছে দুর্নীতি হয়নি।

এ রকম পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আমরা আছি ধোঁয়াশায়। কাদা ছোড়াছুড়ির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যাশা, শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন। দুর্নীতি বনাম দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ অবস্থানের বাইরেই শিক্ষার্থীদের রাখা উচিত। ভুলে গেলে চলবে না, এ শিক্ষার্থীরা পাস করে বেরিয়ে হাল ধরবেন পরিবারের। পরিবারগুলোর জন্য এ আন্দোলন যেন কোনো দুর্ভাবনার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়- তাও নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper