মানের জন্য মেসির হতাশা
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
দলীয় প্রচেষ্টার ফসল গত মৌসুমে ঘরে তুলেছে লিভারপুল। জিতেছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের রুপালি ট্রফি। ক্লাবের এই সাফল্যে ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে চলে এসেছিলেন অল রেডদের কয়েকজন ফুটবলারই। শীর্ষ সাতেই থাকলেন লিভারপুলের চারজন!
কিন্তু একজনও সেরার স্বীকৃতি পাননি। সবাইকে হারিয়ে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর রেকর্ড (সর্বোচ্চ) ষষ্ঠ পুরস্কার জিতে নেন লিওনেল মেসি। রাজত্ব উদ্ধারের লড়াইয়ে লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের চেয়ে মাত্র ৭ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ইতিহাসের সেরা লড়াই বটে।
‘অধীক সন্নাসীতে গাজন নষ্ট’। লিভারপুল খেলোয়াড়দের বেলায় এমনটাই হলো। ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে হলো ভোট ভাগাভাগি। পর্যাপ্ত ভোট পেয়েছেন ফন ডাইক, সাদিও মানে, মোহাম্মদ সালাহ ও অ্যালিসন বেকার। অনেকের মতে এখান থেকে একজন প্রার্থী থাকলেই ফুটবলবিশ্ব দেখতো নতুন কোনো রাজাকে।
তা হয়নি। পুরনো রাজা ফিরেছেন নতুনরূপে। চার বছর পর মেসি ফিরে পেলেন ব্যালন ডি’অরের সোনালি মুকুট। কিন্তু এই লড়াইয়ে নিজেকে ভোট দেননি বার্সেলোনা অধিনায়ক। তার ভোটটি পড়েছিল মানের বাক্সে। যিনি সেরা তিনেই আসতে পারেননি। সেনেগালিজ ফরওয়ার্ড চতুর্থ সেরা হওয়ায় হতাশ হলেন মেসি।
মানের চতুর্থ হওয়াকে লজ্জা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মেসি। কাল প্রচারমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘মানেকে চতুর্থ স্থানে দেখাটা লজ্জার। তবে আমার মনে হয় এ বছর অনেকেই দারুণ খেলেছে। তাই নির্দিষ্ট একজনকে পছন্দ করা কঠিন হয়ে গেছে। কিন্তু আমি মানেকে পছন্দ করি। ওকেই সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম।’
মেসি আরো বলেছেন, ‘এ বছর লিভারপুল দুর্দান্ত খেলেছে। দলীয় পারফরম্যান্সের মধ্যে মানে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। এই বছরটা মানে দারুণ কাটিয়েছেন; অসাধারণ খেলেছেন। এ কারণে আমি মানেকে বেছে নিই। কিন্তু আমি আবার বলছি, এ বছর অনেকে দারুণ খেলেছে, তাই একজনকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল।’