ডোমার হানাদারমুক্ত দিবস
আবদুল্লাহ আল মামুন
🕐 ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। বাংলাদেশের পতাকা হাতে সব শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে রাজপথ।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা বোড়াগাড়ী হাসপাতালের উত্তরদিকে হলদিয়াবন ও বুদলিরপাড় গ্রামে অবস্থান নিয়ে পাকসেনাদের প্রতিহত করতে শুরু করে।
দুপক্ষের মধ্যে চলে তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে তিনজন পাকসেনা মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দুজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে পিছু হঠতে শুরু করে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা যাতে ডোমারে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বোড়াগাড়ী ব্রিজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। রাতে বোড়াগাড়ীর উত্তরপাড়ায় পাক বাহিনী হামলা চালিয়ে সাতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার শমসের আলী বলেন, আমরা ফ্লাইট লে. ইকবালের নির্দেশে ৬ ডিসেম্বর বোড়াগাড়ী হাসপাতালে একত্রিত হই। ভোরের দিকে মেজর ছাতোয়াল ও মুক্তিযোদ্ধা প্লাটুন কমান্ডার আমিনার রহমান যোগ দেন। আমরা এক হয়ে ৬ ডিসেম্বর সকালে ডোমার হানাদারমুক্ত করি।
ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ডোমারে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। হত্যা করে অসংখ্য মানুষকে।
তবে সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আমিনার রহমান জানান, ৬ ডিসেম্বর নয় ১১ ডিসেম্বর মুক্ত হয় ডোমার। ১২ ডিসেম্বর নীলফামারী মুক্ত হয়। নীলফামারী ১২ ডিসেম্বর মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা ৬ দিন কোথায় ছিলেন।