ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নীলফামারী আ.লীগে নেতৃত্বে কামাল-মমতাজুল

নীলফামারী প্রতিনিধি
🕐 ১০:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

দীর্ঘ ১৩ বছর পর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও স্বতঃস্ফূর্ততার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন। এতে পুনরায় দেওয়ান কামাল আহম্মেদ সভাপতি এবং মমতাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

বিএনপি-জামায়াত জোটের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ওদের জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। সাঈদীকে চাঁদে দেখা যায়! এটি ওদের অপপ্রচার, ওরা শয়তান, ওরা ইবলিশ। সেই ইবলিশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে।’

নানক আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের একটি সীমানার স্বাধীনতাই চাননি, মানুষের মুক্তিও চেয়েছিলেন। আজ তার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের সব অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী সব বিদ্যালয়ে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিয়েছেন। যা পৃথিবীর অনেক বড় বড় দেশও পারেনি।’

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক নাইমুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক।

সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নির্বাচনে তার অতীত কী ছিল সেটি দেখতে হবে। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস আছে। ওই ইতিহাস যারা ধারণ করতে পারবেন তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা খোলা। আর যারা ধারণ করতে পারবেন না তাদের জন্য দরজা বন্ধ।’

নূর আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, কোনো বিবাদ নেই। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করি। সম্মেলনের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণই তার প্রমাণ। এবারের কমিটির মাধ্যমে মডেল আওয়ামী লীগের জেলা গড়তে চাই।’

বিকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সর্বসম্মতিক্রমে পুনরায় দেওয়ান কামাল আহমেদকে সভাপতি এবং মমতাজুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের ওই কমিটির ২৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে অবশিষ্ট সদস্য নির্বাচন করে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশ দেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১৫ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে দেওয়ান কামাল আহমেদ সভাপতি এবং মমতাজুল হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি সেই কমিটি কেন্দ্রের অনুমোদন পায়।

 
Electronic Paper