ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এবার তুরস্ক থেকে আসছে ২৫০০ টন পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

এবার ১০০ কন্টেইনারে এক সঙ্গে আড়াই হাজার টন পেঁয়াজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ নিয়ে ‘এমসিসি থাইপে’ কন্টেইনার জাহাজটি আগামী ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছবে। এরপর বন্দর জেটিতে ভিড়বে। এসব পেঁয়াজ আমদানি করে দেশে এনে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) সরবরাহ করবে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। এর আগে সিটি গ্রুপ উড়োজাহাজে করে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেঁয়াজ আনলেও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আনছে প্রথমবার।

এ বিষয়ে সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিত সাহা বলেন, উড়োজাহাজে করে নভেম্বর মাসে দুটি চালানে ২৫ টন পেঁয়াজ এসেছে তুরস্ক থেকে। আর সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কন্টেইনারে আসছে ২ হাজার ৫৫৬ টন। এসব পেঁয়াজ আমরা কেজি ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে টিসিবিকে হস্তান্তর করেছি। টিসিবি ন্যায্যমূল্যে এসব পেঁয়াজ সারা দেশে বিক্রি করছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি আমাদের কাজ নয়; এরপরও সরকারকে সহযোগিতা করতেই আমদানি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশের কয়েকটি শীর্ষ শিল্পগ্রুপ সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়। এরমধ্যে সবার আগে দ্রুত পেঁয়াজ নিয়ে আসে ভোগ্যপণ্যের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামভিত্তিক বিএসএম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে প্রায় ৬০০ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এনে বাজারে সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া মেঘনা গ্রুপ এনেছে সাড়ে ৫০০ টন পেঁয়াজ। এতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

শিল্পগ্রুপগুলোর মধ্যে সবচে বেশি ৬৪ হাজার টনের আমদানি সনদ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ; উড়োজাহাজে তাদের কিছু পেঁয়াজ ঢাকায় পৌঁছলেও এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে কোনো পেঁয়াজ আসেনি। তবে অনেকগুলো ছোট আমদানিকারক এখন আমদানি করে বাজারে সরবরাহ রেখেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, এমসিসি থাইপে জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছবে ৬ ডিসেম্বর।

জাহাজটিতে পেঁয়াজ থাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেটিতে ভিড়ার সুযোগ পাবে। ফলে দ্রুত পেঁয়াজ জাহাজ থেকে নামবে। চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাবে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৯৭ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে নেমেছে। এরমধ্যে সরবরাহ হয়েছে ১১ হাজার ৭১২ টন। বাকিগুলো ছাড়ের অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া বহির্নোঙরে পৌঁছা চারটি কন্টেইনার জাহাজে আরও এক হাজার ৩৭ টন পেঁয়াজ আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করার আগে উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের অনুমোদন বা আমদানি অনুমতিপত্র নিতে হয়। চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের বিভাগের হিসাবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৭১৬ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৫২৭ টন।

চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, যে পরিমাণ আমদানি অনুমতি সনদ নেওয়া হয়েছে, তার এক দশমাংশ ছাড় হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই মাসে সবচে বেশি পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছাড় হবে। কারণ বেশির ভাগই আমদানি সনদ নেওয়া হয়েছে নভেম্বরের প্রথম দিকে।

 
Electronic Paper