ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নুসরাত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার আসামির আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজী আলিয়া মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়। আসামিরা হলেন- মাদরাসা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, উম্মে সুলতানা পপি ও জাবেদ হোসেন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আপিল আবেদন জমা দেয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে গত ২৪ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়। সাত মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৬১ কার্যদিবস শুনানির পর এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-
সোনাগাজী মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মো. রুহুল আমিন, ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি; আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মো. শামীম ও মহি উদ্দিন ওরফে শাকিল।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজকক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মা শিরিনা আক্তার সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলা তুলে না নেয়ায় ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকাপরা পাঁচজন।

১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নুসরাতের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে দেয়া জবানবন্দিতে নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগকারীদের নাম উল্লেখ করে।

 
Electronic Paper