ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নৌ ধর্মঘটে নাকাল জনপদ

দুর্ভোগ কাম্য নয়

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯

নৌপথ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। সাশ্রয়ীভাবে নৌপথের মাধ্যমে সারা দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগটি সংঘটিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যে কোনো ধর্মঘট খুব স্বাভাবিকভাবেই জনগণের মধ্যে ভোগান্তির সূচনা করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রাজধানীর সদরঘাট থেকে কিছু লঞ্চ ছেড়ে গেলেও নৌশ্রমিকদের ধর্মঘটে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে বরিশাল, চাঁদপুরসহ দক্ষিণের বিভিন্ন জেলার নৌপথের হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন শুক্রবার থেকে ধর্মঘট শুরু করায় মোংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

এদিকে নৌ ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে চাঁদপুর লঞ্চঘাট। এ জেলা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, শরীয়তপুরসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যা পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বরিশালের যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। সকালে ঘাটে গিয়ে লঞ্চ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। কাছের দূরত্বের কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে ট্রলারে চড়লেও গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। মোংলা বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে।

শনিবার সকালে কোনো পণ্যবাহী বার্জ, কার্গো, কোস্টার বা ট্যাঙ্কারও মোংলা ছেড়ে যায়নি। ইউরিয়া সার, গ্যাস, গাড়ি ও ক্লিংকারবাহী মোট ২৬টি জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে। জেটিতে অবস্থান করা মাত্র চারটি জাহাজে পণ্য ওঠানামার অল্প কিছু কাজ চলছে। জেটির বাইরে থাকা জাহাজে কোনো কাজ হচ্ছে না।

তবে দক্ষিণের জেলাগুলোতে নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট পুরোমাত্রায় চললেও সকালে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বেশ কিছু লঞ্চ। শ্রমিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো-নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা, গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দেওয়া, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, প্রত্যেক নৌশ্রমিককে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়া, প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন ইত্যাদি। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে জনগণের ভোগান্তি দূর করার জন্য শ্রমিকদের সঙ্গে অতিসত্ত্বর আলোচনায় বসা উচিত বলে আমরা মনে করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper