সাফল্যের গল্প
নোবিপ্রবির শিমুল
এস আহমেদ ফাহিম
🕐 ১:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
জীবনে বড় কিছু করার লক্ষ্য সবার-ই থাকে। কারও কম, কারও বেশি। সেই লক্ষ্য পূরণে চেষ্টা করে যাওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার। লক্ষ্য হিসেবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, উদ্যোক্তা, বিজনেসম্যান, কোম্পানির সিইও হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেকের কাছেই সাধারণ। ব্যতিক্রম হিসেবে এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে জীবনের লক্ষ্যটা একটু ভিন্ন।
যাদের কাছে জীবনটা শুধুমাত্র একটি লক্ষ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকা নয়। মেধা, শ্রম, কৌশলকে কাজে লাগিয়ে তারা শুধু নিজেকেই নয়, বরং বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে নিজেকে, নিজ জন্মভূমিকে। তেমনই একজন হলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী শিমুল। পুরো নাম আশরাফুল ইসলাম শিমুল। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে ও পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বশে শুরু করেন ফটোগ্রাফি। যার ফলশ্রুতিতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েও শখের বশে হয়ে উঠলেন একজন অসাধারণ ফটোগ্রাফার।
আর অল্প সময়ে পেলেন মানুষের অজস্র ভালোবাসা। হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ইঞ্জিনিয়ার শিমুলের চেয়ে ফটোগ্রাফার শিমুল বেশ পরিচিত।
দিনে দিনে শিমুল ফটোগ্রাফিতে ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। বর্তমানে ফটোগ্রাফার শিমুলের সেরা অর্জনের মধ্যে রয়েছে-এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-৭ এ সিঙ্গেল ক্যাটাগরিতে প্রথম, ইটিভি অনলাইন ফটো কনটেস্টে প্রথম এবং উইকি লাভ আর্থ ২০১৮-তে তৃতীয় স্থান অর্জন।
এছাড়াও জিতেছেন পিক্সমা ফটো আপলোডিং কনটেস্ট অ্যাওয়ার্ড, এগ্রিকালচার ভিউ অনলাইন ফটো কনটেস্ট বিশেষ পুরস্কার, ইভিপি মান্থ’লি অ্যাওয়ার্ড, ফটোক্রাউড অ্যাওয়ার্ড, চিজ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কার।
বর্তমানে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে ছবি তোলেন। ছবি তোলার জন্য তিনি বাংলাদেশের সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলোতে ছুটে যান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধারণের পাশাপাশি ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করছেন। গড়ে তুলেছেন ছোটখাটো ওয়েডিং ফার্ম। এছাড়াও নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি ক্লাবকে এগিয়ে নিচ্ছেন সুন্দরভাবে। ভবিষ্যতেও ফটোগ্রাফি নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য শিমুলের। ভালো ছবি তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফটো এক্সজিভিশনগুলোতে ভালো করার মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজের দেশকে তুলে ধরতে চান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।