ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিনাচাষে রসুন লাগাতে ব্যস্ত চলনবিলের চাষীরা

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)
🕐 ৭:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

শস্য ভান্ডারখ্যাত দেশের বৃহত্তর চলনবিল। আর এ বিল জুড়ে পানি নামার সাথে সাথে এ বছর শুরু হয়েছে বিনাচাষে রসুনের আবাদ। রসুনের বীজ রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে নারী-পুরুষ, কিশোর ও কিশোরীরা। সাধারনত বিলের পানি কার্তিকের শেষে নদীতে নেমে যায়। অগ্রহায়নের শুরুতে বিলের পলিমাটি শুকিয়ে ওঠে। তখন কৃষক কোন রকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন করেন।

এ বছর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য বিনাচাষে ৪০ হেক্টর জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে। তাছাড়া বীজ রোপনের মাধ্যমে ৪০০ হেক্টর লাগানো হচ্ছে। ইতিমধ্য একশত হেক্টর রোপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা।

এ দিকে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রসুন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে।

জানা যায়, এ বছর চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিগুলোতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ পুর্বে। এখন আমন কাটা শেষে বিনাচাষে রসুন রোপনের ধুম পড়েছে চলনবিল এলাকার উপজেলাগুলোতে। এ সকল উপজেলার সর্বোচ্চ অর্থকরী ফসল বিনাচাষে রসুনের বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি মৌসুমে এলাকার কৃষকরা এবার বিনাচাষে রসুনের রোপন করতে শুরু করেছেন।

তাড়াশ উপজেলার চর এলাকা ও গুরুদাসপুরের কাছিকাটা, ধারাবারিষা ও মশিন্দা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলের পানি নামার সাথে সাথে কৃষকের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা।

চলনবিলে এখন চলছে রসুন রোপনের ভরা মৌসুম। বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেরা-মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুনের কোয়া রোপন করছেন।

তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের বিন্নাবাড়ি গ্রামের কৃষক ইমান আলী জানান, এ সময় বোনা আমন ধান কাটার পর কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যায়। প্রতিবছরের মত এবারো ৭ বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছেন। এরমধ্য বিনাচাষে ৩ বিঘা জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, চলনবিল এলাকায় বর্সার পানি নামার সাথে সাথে কাদা মাটিতে কৃষক বিনাচাষে রসুন আবাদে লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর রসুন আবাদটা বাড়ছেই।

কৃষি অফিসের লোকজন সার্বক্ষনিক কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করেন বলে তিনি জানান।

 
Electronic Paper