ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অনিয়মে সড়ক উন্নয়ন বন্ধ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করার অভিযোগে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হুসোরখালী থেকে ইসলামপুর হুদাপাড়া পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি খুড়ে রাখায় স্থানীয়দের চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নিলেও ঠিকাদারের কারণে তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা দরপত্র অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করা অথবা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর শহর থেকে দত্তনগর হয়ে জিন্নানগর বাজারের দিকে একটি সড়ক রয়েছে। এ সড়কের হুসোরখালী থেকে ইসলামপুর হুদাপাড়া অভিমুখে একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তাটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। গ্রামীণ ছোট ছোট যানবাহনও চলাচল করে থাকে।

হুসোরখালী গ্রামের আমিনুল ইসলাম জানান, তারা বেশ কিছুদিন থেকেই রাস্তাটি পাকা করার জন্য বিভিন্ন দফতরে ধর্না দিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও ছুটেছেন। সর্বশেষ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেয়। বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬০ লাখ ৭৭ হাজার ৯১১ টাকা। এরপর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ দরপত্র বিক্রি করে। কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সস জাকাউল্লাহ অ্যান্ড ব্রাদার্স।

এলজিইডি মহেশপুর শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, এ কাজে বেড তৈরির পর ১০ ইঞ্চি বালু, ছয় ইঞ্চি খোয়া মিশ্রিত বালু, ছয় ইঞ্চি খোয়া ও ২৫ মিলি কার্পেটিং করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার প্রথমেই নিম্নমানের বালু দিয়েছেন। মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার না করার জন্য বলা হলেও তিনি কথা শোনেননি। এরপর খোয়ার সঙ্গে বালু মিশ্রিত করতে গিয়ে নামমাত্র খোয়া দিয়েছেন। বেশিরভাগ বালু ব্যবহার করেছেন। সেটাতেও কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানালেও ঠিকাদার শোনেননি। ছয় ইঞ্চি খোয়া বিছিয়ে রোলার করার সময় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করেছেন। এসব কারণে সংশ্লিষ্ট অফিসের পক্ষ থেকে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে এলজিইডি মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী সেলিম হোসেন জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই সমস্যায় আছেন। ঠিকাদারকে কাজের মান বাড়ানোর জন্য বলা হলেও বিষয়টির তিনি গুরুত্ব দিতে চাননি। এরপর তারা বাধ্য হয়ে কাজটি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। সেটাও যখন করেছেন ততক্ষণে অনেকটা কাজ শেষ হয়েছে। তবে বর্তমানে কাজটি বন্ধ আছে। কাজের মান ভালো করতেই হবে, অন্যথায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার জাকাউল্লাহ জানান, নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার কথাটি সঠিক নয়। তবে অফিসের পক্ষ থেকে খোয়া নিয়ে আপত্তি করা হয়েছে। খোয়ার সাইজ বড় হওয়ায় তারা কাজ বন্ধ করতে বলেছেন। এরপর তারা খোয়া ছোট করে আবার কাজ শুরু করেছেন।

 
Electronic Paper