ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সম্ভাবনার নিঝুম দ্বীপ

ইকবাল হোসেন সুমন, নোয়াখালী
🕐 ৫:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সবুজ বনবেষ্টিত জীববৈচিত্র্যের অপরূপ সমারোহ আর প্রকৃতির লীলাভূমি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নিঝুম দ্বীপ। দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল গর্জন, পূর্বে দমারচর, পশ্চিমে মেঘনা নদী ও উত্তরে মোক্তারিয়া খাল। এ দ্বীপে রয়েছে বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত। গভীর সমদ্র থেকে ভেসে আসে নির্মল বাতাস।

১৯৫০ সালে বঙ্গোপসগারের কূল ঘেঁষে জেগে উঠে এ নিঝুম দ্বীপ। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকার মাঝখানে এর অবস্থান। এর আয়তন ২৫ একর থেকে বেড়ে বর্তমানে ৮১ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পশ্চিম-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদী বেষ্টিত এ নিঝুম দ্বীপ। নোয়াখালী জেলা সদর থেকে হাতিয়ার দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার।

পূর্বে এ দ্বীপটি জাহাজমারা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড ছিল। বর্তমানে নিঝুম দ্বীপ নামে এটি নবগঠিত ইউনিয়ন। ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর দুর্যোগ কবলিত এক জাহাজ থেকে ভেসে আসে দ্বীপে কয়েকজন নাবিক। চরে কমলা পড়ে থাকতে দেখে জেলে ও রাখালরা এ দ্বীপের নাম রাখে কমলার চর।

১৯৬৯ সালে জরিপকারীরা এ চরে জরিপ করতে গিয়ে ওসমান নামে এক রাখালের দেখা পায়। তার নাম অনুসারে চর ওসমান রাখা হয়। যা বন বিভাগের তালিকায় রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। পরে ১৯৭৪ সালে হাতিয়ার সাবেক এমপি, কৃষি ও বন প্রতিমন্ত্রী মরহুম আমিনুল ইসলাম কালাম দ্বীপটির নাম রেখে দেন নিঝুম দ্বীপ।

১৯৭৮ সালে জীববৈচিত্র্য ও পর্যটকদের আকর্ষণীয় করতে বন বিভাগ চার জোড়া চিত্রা হরিণ নিঝুম দ্বীপে অবমুক্ত করে। ২০০৬ সালে জরিপে হরিণের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১৪ হাজার।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সানাউল্যা পাটওয়ারী জানিয়েছেন, নিঝুম দ্বীপে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পর্যটকদের জন্য ৫০ ফুট উঁচু টাওয়ার নির্মাণ ও হরিণ ও পশু-পাখি দেখার জন্য বনের গাছের উচ্চতা সমান ২০ ফুট পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। পুকুর, খাল ও লেক খনন এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে জন সচেতনা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

 
Electronic Paper