ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নৌকাই ভরসা শিক্ষার্থীদের

উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
🕐 ৪:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ঘটকের আন্দুয়া ও ছৈলাবুনিয়া এলাকার মধ্যে শ্রীমন্ত নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছে। শ্রীমন্ত নদীর পূর্ব পারে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া এলাকার বুড়ির খালের গোড়া এবং পশ্চিম পারের আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া এলাকার সামাদ সিকদার বাড়ির সামনে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ হাজারও গ্রামবাসী। খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিনিয়ত ওই স্থান থেকে নৌকা দিয়ে শ্রীমন্ত নদী পার হয়ে চলাচল করছে উভয় পারের ঘটকের আন্দুয়া, পিপড়াখালী, ভাজনা, কলাগাছিয়া, মানছুরাবাদ, ছৈলাবুনিয়া, দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া ও কিসমত ছৈলাবুনিয়াসহ ১০ গ্রামবাসী। এছাড়া সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছে উত্তর ঘটকের আন্দুয়া, পূর্ব ঘটকের আন্দুয়া, চর ছৈলাবুনিয়া, ছোট ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘটকের আন্দুয়া হাজী আশ্রাফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উত্তর ঘটকের আন্দুয়া সালেহীয়া ফাযিল মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ঘটকের আন্দুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া, মিনু, বেল্লাল ও কাওসার বলেন, আমাদের স্কুলে আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ শ্রীমন্ত নদী পার হয়ে। আর গাড়িতে করে গেলে ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এখানে কোন সেতু না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে ছোট নৌকায় করে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। 

ঘটকের আন্দুয়া হাজী আশ্রাফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু বিরেন বলেন, বিদ্যালয়ের আসতে অনেক ছাত্র নৌকায় করে আসতে হচ্ছে। তবে বর্ষার সময়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হয়। এতে অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আশঙ্কায় থাকে।

উত্তর ঘটকের আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আউয়াল বলেন, শ্রীমন্ত নদীর দুই পশেই পাকা সড়ক রয়েছে। কিন্তু ওই জায়গায় নাই সেতু তাই শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে যাতায়াত করতে খেয়া (নৌকার) জন্য ৫-৭ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শেখ আজিম উর রশিদ বলেন, ওই এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন তৈরী করে পাঠানো হবে। যাতে গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের ওই যায়গায় একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 
Electronic Paper