রশি টেনে খেয়া পারপার
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
মাঝিবিহীন আট দশ জনের চলাচল উপযোগী একটি খেয়া নৌকা। এ খেয়া নৌকার দুই প্রান্তে বাঁধা রয়েছে দুটি রশি। নিজ হাতে রশি টেনেই পারপার হতে হয় যাত্রীদের। এতে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পারাপার হওয়া যাত্রীরা।
এসব দুর্ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা খালে খেয়া চলাচল করলেও দুর্ভোগ লাঘবে কেউ উদ্যোগ নেয়নি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ধানখালী গ্রামের চার হাজার মানুষ বিভক্ত হয়ে আছে এ লোন্দা খাল দ্বারা। তাই গ্রামের মানুষের যাতায়াত সুবিধায় স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে এ খালে চালু করেন মাঝিবিহীন খেয়া নৌকার। নৌকাটি মেরামতও করেন থাকেন নিজস্ব চাঁদার টাকায়। বর্ষা মৌসুমে অথৈ পানিতে খালটি থৈ থৈ করলেও শুকনো মৌসুমে হাঁটু পানিতে কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে যায় খালটি।
এ সময় খেয়া চলাচল হয়ে পড়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তখন কয়েক মাইল ঘুরে চলাচল করতে হয় গ্রামবাসীর। ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড হচ্ছে ধানখালী গ্রাম।
এ গ্রামে ১৩০০ ভোটারের মধ্যে ৪০০ ভোটারকে খেয়া পার হয়ে ওপারের ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হয়। তাই ওই গ্রামের মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সেতু নির্মাণ করা দরকার।
কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান বলেন, একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের মত আর্থিক স্বচ্ছলতা উপজেলা পরিষদের নেই। তবে এলকাবাসীর ভোগান্তি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
