ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তোমাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদের বই

এম এ হান্নান
🕐 ১:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯

১৩ নভেম্বর ছিল প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। তাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ নেই, কিন্তু প্রিয় লেখকের স্মরণে তোমরা তার লেখা বই তো পড়তে পার।

একি কাণ্ড!
টুকুন একটা কাকের সঙ্গে কথা বলে। নানান রকম কথা। এবং বিষয়টা ও সবাইকে বলে বেড়ায়। সেসব শুনে মা-বাবা ওর ওপর বিরক্ত। এই বয়সে যদি এ রকম বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতে থাকে তাহলে বড় হয়ে কী করবে? বাবা টুকুনকে বলে দিয়েছেন, কাক নিয়ে যেন আর কখনো কোনো কথা সে না বলে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কাকের সঙ্গে টুকুনের মিতালি চলতেই থাকল।

একবার টুকুনের জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান হলো না। সে মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকল। ঠিক সে সময় কাকটা এল টুকুনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে। সঙ্গে নিয়ে এল উপহার- একটা ‘ঝেং-এর বাচ্চা’। ঝেং অদৃশ্য, কেউ দেখতে পায় না কিন্তু অনুভব করতে পারে। সেই ঝেং-এর বাচ্চাকে নিয়েই ঘটতে লাগল মজার সব কা-কারখানা। মিস করতে না চাইলে বইটা পড়ে ফেলো ঝটপট।


নীল হাতি
বইটিতে আছে মোট তিনটি গল্প- ‘নীল হাতি’, ‘একটি মামদো ভূতের গল্প’, ‘আকাশপরী’। তিনটি গল্পই নীলুকে ঘিরে। প্রথম গল্পে দেখা যায়, নীলুর সঞ্জু মামা থাকেন আমেরিকায়। মামাকে সে কখনো দেখেনি। সেই মামা নীলুকে একটি নীল হাতি উপহার পাঠিয়েছেন। উপহার পেয়ে নীলুর খুশি দেখে কে! হাতির শুঁড় নড়ছে আপনা আপনিই। গলায় রূপার ঘণ্টা বাজছে টুনটুন, ঝুনঝুন শব্দে। নীলুর বন্ধুরা সুন্দর হাতিটা দেখতে এল। বড় খালা, চাচা, মায়ের বান্ধবীরাও এলেন। একদিন মায়ের এক বান্ধবীর ছেলে টিটোর কান্না থামাতে হাতিটা তুলে দিতে হলো ওর হাতে। শুনে মন খারাপের শেষ নেই নীলুর। তবে সেদিন রাতেই নীলু আবার হাতিটাকে ফিরে পায়। কিন্তু কীভাবে, জানতে চাও? পড়তে হবে ‘নীল হাতি’।

দ্বিতীয় গল্পে নীলুর জন্মদিনে মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সবাই তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত। এরই মাঝে ঘটল এক মজার কাহিনি। নীলুর সঙ্গে দেখা করতে এল তেঁতুলগাছের ভূত, সঙ্গে ভূতের মেয়ে হইয়ু। তারপর? বাকিটুকু বই পড়েই জেনে নিও।’


তোমাদের জন্য রূপকথা
‘ইরকিম বিরকিম/নাগা খিরকিম/এলট বেলট ইলবিল ঝা/পোলাও-কোরমা এসে যা’ ভাবছ, এ আবার কেমন ছড়া? এটা ছড়া নয়। ওই যে দূরের কটক পাহাড়, ওখানেই থাকে এক হাজার বছর বয়সী কানি ডাইনি। এমন মন্ত্র পড়েই ডাইনি খাবার আনে, ঘরদোর ঝাড়ু দেয়; আরও কত কী করে! কিন্তু বয়স হয়েছে বলে মন্ত্রটন্ত্র ভুলতে বসেছে ডাইনিটা। এক মন্ত্রের জায়গায় অন্য মন্ত্র বলে, আগের শব্দের জায়গায় পরের শব্দ বলে। তাই মন্ত্র কাজ করে না। ডাইনি পড়ল ভীষণ মুশকিলে। কটক পাহাড়ের নিচেই মনপুকুর গ্রাম। সেই গ্রামের লক্ষ্মী মেয়ে মৌ। ওর একটাই দোষ, গল্প শুনতে চায়। ভাত খাওয়ার সময় গল্প, ঘুমানোর সময় গল্প, স্কুলে যাওয়ার সময় গল্প! কত আর গল্প বলা যায়? ওর মা-বাবা মহা বিরক্ত। শেষমেশ মৌয়ের বাবা বলে বসলেন, ‘আর গল্প গল্প করলে চড় খাবি।’ মৌয়ের খুব মন খারাপ হলো, রাগ করে চলে গেলো কটক পাহাড়ে, কানি ডাইনির আস্তানায়। কানি ডাইনি মৌকে বশ করবে কি, উল্টো মৌ-ই ডাইনিকে কবজা করে নিয়ে এল গ্রামে! কী হলো তারপর? বাকিটুকু পড়ে নিও বইটিতে।


পুতুল
পুতুলের বয়স ১১। ওর মা-বাবা অনেক ধনী। জন্ম থেকে পুতুলের হার্টের সমস্যা, ফলে মা-বাবা খুব দুশ্চিন্তায় থাকেন। তবে সারা দিন বাড়ির বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে পুতুলকে তাঁরা সময়ও দিতে পারেন না। একটা দূরত্ব থেকেই যায়। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পুতুল বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে দেখা হয় তারই বয়সী এক ছেলে অন্তু মিয়ার সঙ্গে। অন্তু তার দুই বছরের ছোট বোন মরিয়মকে নিয়ে থাকে কমলাপুর রেলস্টেশনে। কথায় কথায় ভাব জমে ওঠে ওদের। মা-বাবাকে না জানিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়া পুতুল অন্তুদের সঙ্গে মিশে যায়। কেমন ছিল পুতুলের সেই দিনটি? পুতুল বইটি পড়লে জেনে যাবে সব।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper