ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কে নাড়ে পেঁয়াজের কলকাঠি

শফিক হাসান
🕐 ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

পাগলা ঘোড়ার মতোই ছুটে চলেছে পেঁয়াজের দাম; গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ানবাজারে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা কেজিতে। এর বাইরে মান ভেদে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়। ভালো মানের প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রেতারা ২০০ টাকা হাঁকছে। পেঁয়াজের ঝাঁজে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ প্রায় সবার চোখের পানি বেরুনো উপক্রম। এমন ‘অলুক্ষুণে কাণ্ড’ কেউই দেখেনি কখনো। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও পেঁয়াজ এখনো নটআউট। ক্ষেত থেকে নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগ পর্যন্ত এটা কোন দিকে মোড় নেবে ধারণা করা যাচ্ছে না।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানিকারকরা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন, পাইকারি ও খুচরা বাজার কোথাও ঘাটতি নেই; চাহিদামতো পেঁয়াজ পাওয়া যাওয়ার পরও কেন দাম বেড়েই চলেছে! নেপথ্যে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রয়েছে কিনা, কারা কোত্থেকে কলকাঠি নাড়ছেন তা খুঁজে বের করা উচিত। পেঁয়াজের বাজারে নেই সরকারি তত্ত্বাবধান। যে কারণে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীসহ সিন্ডিকেট-চক্র অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে রেখেছে। তাদের মাত্রাতিরিক্ত লাভ-লোভের মাশুল দিতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

বর্তমানে জাতীয় সংসদেও ব্যবসায়ীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এই সংসদ সদস্যরা সত্যিকার অর্থে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন নাকি নিজেদের ব্যবসার পথ নিষ্কণ্টক করতে এমপি পদকে ‘অলংকৃত’ করছেন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন ও কৌতূহল। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শৈথিল্য, নিষ্পৃৃহতাও জন্ম দিয়েছে ক্ষোভ ও উষ্মার। সংশ্লিষ্টদের সময়োপযোগী ভূমিকার বদলে বেফাঁস মন্তব্য আগুনে ঘি ঢালছে আরও।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন যেদিন জাতীয় সংসদে বললেন, পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, দাম নিয়ন্ত্রণেই আছে। সেদিনই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে উঠেছে ১৮০ টাকায়! তারও আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, আপাতত পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নামবে না। যখন আমদানিকৃত পেঁয়াজের একাধিক চালান এসেছে, তখনই মন্ত্রীর মুখ নিঃসৃত এমন বাক্যে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা পেয়েছে উদ্বাহু নৃত্যের সুযোগ। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চরিত্র চিত্রণে বহুল প্রচলিত প্রবাদটি খুবই যুৎসই- একে তো নাচুনে বুড়ি, তার ওপর ঢোলের বাড়ি! সরকার যেখানে সিন্ডিকেট নৈরাজ্যসহ পেঁয়াজের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা রোধে ব্যবস্থা নেবে সেখানে এমন অপ্রত্যাশিত ‘উসকানি’ পাগলকে সাঁকো না নাড়ানোর অনুরোধের নামান্তর! চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা নয়ছয় না করার শপথ নিলেও শেষপর্যন্ত যেই লাউ সেই কদুই থেকে গেছে। খাতুনগঞ্জ এখন পেঁয়াজই সরবরাহ করছে না। ঢাকাসহ দেশের বড় বাজারগুলোতে দৃশ্যত সঠিক মনিটরিংয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। হঠাৎ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও দূরদৃষ্টির পরিচয় দিতে পারেনি। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর কোনো কৌশলই নিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে মন্ত্রীদের সবকিছু সহজে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক দেখানোর প্রচেষ্টাও ব্যবসায়ীদের করেছে আরও দুর্বিনীত।

নেপথ্যে যে কলকাঠি নাড়ানো হচ্ছে তাতে সংশ্লিষ্টদের ভ্রূক্ষেপ নেই বললেই চলে। এ অসাধু চক্রের সঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীল কোনো মহলের যোগসাজশ রয়েছে কিনা তাতেও সন্দেহ পোষণ করছে সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের দাম যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, এর যৌক্তিক কারণও খুঁজছেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে সে দেশেরই একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও।’

সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলছেন- যে দেশের প্রধানমন্ত্রী রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার বন্ধ করেছেন সেদেশে কীভাবে পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা ছাড়ায়! মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে কি কোনোই ‘লেসন’ খুঁজে পাননি? অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য কিছু মানুষের অতিরিক্ত ভোগপ্রবণতাও দায়ী। চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ কেনা হলে তার চাপ পড়ে বাজারে। ঘাটতি হতে পারে এমন ‘মওকা’ পেয়ে ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই দাম বাড়িয়ে দেয়।

গতকাল জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা দাবি জানান, পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার জন্য। সংসদ সদস্যরা বলেন, বাজারে পেঁয়াজের প্রচুর জোগান থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে কেজিপ্রতি দাম ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। সমালোচনা করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অন্যরাও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। আইনপ্রণেতা সংসদ সদস্যরাই যখন আইনবহির্ভূত ক্রসফায়ারের দাবি তোলেন বিষয়টা যে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে সহজেই অনুমেয়। কথা হচ্ছে, যাদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে তাদের কেন আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না? তারা কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী? এমন প্রশ্নই গুঞ্জরিত হচ্ছে জনমনে। তবে শেষপর্যন্ত দায়ীদের ক্রসফায়ারে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষ যে অলক্ষেই ‘ক্রসফায়ারের’ শিকার হচ্ছে পেঁয়াজ-কাণ্ড- বলার অপেক্ষা রাখে না।

অর্থনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রশ্ন- এক ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশ পুরনো বাজারের পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের দ্বারস্থ হয়েছে। প্রথমবারের মতো দেশটি থেকে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন, মিসর, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকেও পেঁয়াজ আসছে। পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবুও কেন পেঁয়াজের ঝাঁজে সাধারণের নাকের পানি চোখের পানি একত্র হচ্ছে- সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা চলছে।
পেঁয়াজ ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ব্যবহারকারীরা। গত বুধবারের ১৭০ টাকার দেশি পেঁয়াজ গতকাল ঠেকেছে ২০০ টাকায়! পেঁয়াজ ‘গৌরবের’ ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) ভাষ্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজের দাম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এমন অস্বাভাবিক দামে ভোক্তারা ভুলতে বসেছে স্বাভাবিক বাজারে পেঁয়াজের কেজি যে ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

আচানক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। দুদিনেই ৬০ টাকা দাম বাড়ল কেন জানতে চাইলে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলেন, যেখানে পাঁচ ট্রাক পেঁয়াজ আসার কথা, সেখানে আসে মাত্র দুই ট্রাক। তিন ট্রাক ঘাটতি থেকে যাওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে।

জানতে চাইলে আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন সমিতির প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্যামবাজারে ৭৮টি পেঁয়াজের আড়তের মধ্যে কেবল আটটি আড়তে পেঁয়াজ রয়েছে। সারা দেশের বাজারে প্রতিদিন কমপক্ষে চাহিদা দুইশ ট্রাকের। আসে মাত্র ১০০ থেকে ১২৫ ট্রাক। ঘাটতি থাকে ৭০/৮০ ট্রাক পেঁয়াজ। প্রতি ট্রাকে সাধারণত ১৫ টন পেঁয়াজ আসে।

এই আড়তদার আরও বলেন, টিসিবি ইচ্ছা করলে আমদানি করতে পারে। এতে দাম কমত। এখন শুধু বেসরকারিভাবে আমদানিকারকরা আমদানি করে। কিন্তু আমদানিতে তাদের অনেক ভোগান্তি সইতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি হচ্ছে না। ঘাটতি থাকায় দাম হু হু করে বাড়ছে।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, গত সেপ্টেম্বরে যখন ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলো, সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরকারকে বললাম, সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি এখনই করতে হবে। নতুবা ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে। কিন্তু আমাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

এদিকে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের মাঠ পরিদর্শন করতে এসে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ মাসটা অপেক্ষা করেন। পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।’ যদিও কীভাবে কমবে পেঁয়াজের দাম, অসাধু ব্যবসায়ীদের লকলকে জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী কোনো ইঙ্গিত দেননি।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতার জন্য ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে দায়ী করা হলেও সেই অর্থে পেঁয়াজ আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। দেশের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে কীভাবে সারা দেশে প্রভাব ফেলে এমন প্রশ্নও রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় ব্যবসায়ী ধারণা পোষণ করেছিলেন, পেঁয়াজের আবাদ বিনষ্ট হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু না হলেও সুযোগসন্ধানীরা তৎপর রয়েছে।

দেশের পেঁয়াজের বাজারে যখন আগুন তখন প্রবাসী বাঙালিরা জানালেন সে দেশের স্বাভাবিক মূল্যের বিষয়ে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকা এবং জার্মানির বার্লিনে বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকায়। বিষয়টি গতকাল সংবাদ মাধ্যমেও আলোচিত হয়েছে।

টিসিবি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে পেঁয়াজ সরবরাহ করলেও এ সপ্তাহে থমকে ছিল বিক্রি। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে খোলা বাজারে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৩৫টি ট্রাক বসিয়ে ৪৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছিল সরকারি এ সংস্থা। চলতি সপ্তাহে মাত্র একদিন খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে টিসিবি। এ বিষয়ে সংস্থার মুখপাত্র হুমায়ুন করিব বলেন, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বিক্রি বন্ধ ছিল। রোববার ছিল সরকারি ছুটি। এর মধ্যে কেবল সোমবার ট্রাক সেল দেওয়া হয়েছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণে মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। সর্বোপরি টিসিবির জোগান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। মধ্যবিত্ত শ্রেণিসহ অনেকেই টিসিবির পণ্য কেনার লাইনে দাঁড়াবে না এটাও বাস্তবতা। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের বাজার সর্বজনীন করার বিকল্প নেই। গতকাল ২০০ টাকা কেজি দাম শুনে অনেক ক্রেতাই পেঁয়াজ না কিনেই বাজার ত্যাগ করেছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বেশি দামে কিনে এনে কমে বিক্রি করব কীভাবে! মানুষ ৫-১০ টাকার পেঁয়াজ কিনতে চায়। এভাবে বিক্রি করা তো অসম্ভব। একাধিক ক্রেতা বলেছেন, ২০০ টাকা যদি পেঁয়াজ কিনতেই খরচ হয়, অন্য সওদা কিনব কীভাবে? স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে আর পেঁয়াজ খাওয়া সম্ভব না।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই পেঁয়াজের বাজার টালমাটাল। ২৯ সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। ফলে দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে ‘হুজুগের গতিতে’। তখন দুই দিনের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১০০ টাকায়। বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকায় পৌঁছায় চিন্তিত মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির মানুষ। ভোজনরসিক বাঙালির মশলাজাতীয় পেঁয়াজ ছাড়া একদিনও কল্পনা করা কঠিন!

 

 
Electronic Paper