নারীবাদকে ‘উগ্রপন্থা’ বলে বিতর্কে সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
নারীবাদ, সমকামিতা ও নাস্তিকতা- এই তিন ধারণা ‘উগ্রপন্থা’রই নামান্তর। সম্প্রতি একটি প্রচারমূলক ভিডিওতে এই বার্তা দিয়েছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
তাতে নারী স্বাধীনতার ভাবনা, সমকামিতা, ঈশ্বরে অবিশ্বাসকে ‘উগ্রপন্থা’ বলে দেগে দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে- ‘এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা বরদাস্ত করা হবে না।’ সৌদি সরকারের এই ‘ফতোয়া’ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সমালোচকরা বলছেন, আরব বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি ফের প্রমাণ করল যে, সৌদি মেয়েরা স্টিয়ারিং হাতে পেলেও, সমাজের চাকা গতি পায়নি এখনও। সৌদির নিরাপত্তা বাহিনীর কথায়, নারীবাদ, সমকামিতা ও নাস্তিকতা- এই তিন ধারণার কোনো একটিতে বিশ্বাস করলে তাকে ‘তকফির’ অর্থাৎ ‘অ-ইসলামি’ বা ‘কাফের’ তকমা দেওয়া যেতে পারে। সৌদি সেনার সাবধানবাণী, ‘ভুলে যাবেন না, জাতীয় মতবাদের গণ্ডি ছাড়িয়ে যে চিন্তাধারা, তাকেই উগ্রপন্থা বলা যায়।’
সম্প্রতি অবিবাহিত বিদেশি নারী ও পুরুষদের হোটেলে একসঙ্গে থাকার ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। গত বছর থেকে মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। মহিলাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পুরুষ অভিভাবকের মতামত নেওয়ার নিয়মও বাতিল করেছে দেশটি।
পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া একা বিদেশযাত্রার সুযোগ পেয়েছেন মেয়েরা। এত কিছুর পরও নারীবাদকে উগ্রপন্থা হিসেবে বর্ণনা দেওয়া বিশ্ববাসীর কাছে সমালোচনার মুখে পড়েছে সৌদি।